ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ বিপ্লব ও সংহতি দিবস

আমাদের বড়াল ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পঠিত

সমরনায়ক জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ (বৃহস্পতিবার)। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানে ওই বছরের মধ্য আগস্ট থেকে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির অবসান হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনে ১৭ বছর পর এবার পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দিবসটি পালন করছে বিএনপি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করা হয়। গৃহবন্দি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরউত্তম সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। দেশ সরকারহীন হয়ে পড়ে। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে পদোন্নতি আদায় করে নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন খালেদ মোশাররফ। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ নভেম্বর রাতে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে সৈনিকরা। জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এ সময় জেনারেল জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে দলটির অনুসৃত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে। তবে জিয়াউর রহমান সে পথে না গিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এতে চার দিনের শূন্যতার অবসান হয়। ঢাকার রাজপথে সিপাহী-জনতা একসঙ্গে নেমে আসে। সেনা ট্যাঙ্কে ফুলের মালা পরিয়ে জনগণ সিপাহী বিপ্লবকে অভিনন্দন জানায়। বেতারে ‘আমি জিয়া বলছি’ ভাষণ শুনতে পায় দেশবাসী। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিজেকে সুসংহত করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রতিরোধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়া। ৭ নভেম্বরের পর তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাতিল করে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ফিরে আবারও দিবসটি সরকারিভাবে পালন শুরু করে। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সরকারিভাবে পালিত হয়। তবে পরের বছর ছুটি ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে ২০০৯ সাল থেকে দিবসটি ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ নামে পালন শুরু হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণীতে বলেছেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। এই পট পরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়।
পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।

ট্যাগস :

আজ বিপ্লব ও সংহতি দিবস

আপডেট সময় : ০৪:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

সমরনায়ক জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ (বৃহস্পতিবার)। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানে ওই বছরের মধ্য আগস্ট থেকে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির অবসান হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনে ১৭ বছর পর এবার পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দিবসটি পালন করছে বিএনপি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করা হয়। গৃহবন্দি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরউত্তম সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। দেশ সরকারহীন হয়ে পড়ে। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে পদোন্নতি আদায় করে নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন খালেদ মোশাররফ। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ নভেম্বর রাতে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে সৈনিকরা। জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এ সময় জেনারেল জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে দলটির অনুসৃত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে। তবে জিয়াউর রহমান সে পথে না গিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এতে চার দিনের শূন্যতার অবসান হয়। ঢাকার রাজপথে সিপাহী-জনতা একসঙ্গে নেমে আসে। সেনা ট্যাঙ্কে ফুলের মালা পরিয়ে জনগণ সিপাহী বিপ্লবকে অভিনন্দন জানায়। বেতারে ‘আমি জিয়া বলছি’ ভাষণ শুনতে পায় দেশবাসী। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিজেকে সুসংহত করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রতিরোধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়া। ৭ নভেম্বরের পর তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাতিল করে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ফিরে আবারও দিবসটি সরকারিভাবে পালন শুরু করে। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সরকারিভাবে পালিত হয়। তবে পরের বছর ছুটি ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে ২০০৯ সাল থেকে দিবসটি ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ নামে পালন শুরু হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণীতে বলেছেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। এই পট পরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়।
পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।