ওয়ানডে ক্রিকেটে তিন বছর পর বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ
- আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১ বার পঠিত
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শেষ করে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল? পরিসংখ্যান বলছে সবশেষ ২০২১ সালের মার্চে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল। এরপর গত বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হলো ৩-০ ব্যবধানে। সময়ের হিসেবে ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন অর্থাৎ প্রায় তিন বছর পর। টস হেরে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩২১ রান তোলে। জবাবে অভিষিক্ত আমির জঙগুর সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৫.৫ ওভারে ৩২৫ রান করে জয় নিশ্চিত করে। নিশ্চিত করে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়।
সেন্ট কিটসে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে ৯ রানেই হারিয়ে বসে দুই উইকেট। তানজিদ হাসান ডাক মেরে ফেরার পর লিটনও ফেরেন শূন্যরানে। সেখান থেকে সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ তৃতীয় উইকেটে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ১৩৬ রান। দলীয় ১৪৫ রানের মাথায় সৌম্য ফিরেন ৭৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৩ রান করে। ১৭১ রানের মাথায় আউট হন মিরাজ। ৭৩ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ রান করেন তিনি।
আফিফ হোসেন একই রানে ফিরেন ২ চারে ১৫ রান করে। সেখান থেকে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী। ষষ্ঠ উইকেটে মারমুখী ব্যাটিংয়ে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে ১১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রান যোগ করেন। তাতে বাংলাদেশের রান ৩২১ পর্যন্ত যায়। জাকের ৫৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ ও মাহমুদউল্লাহ ৬৩ বলে ৭টি চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজারি যোসেফ ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি ও শেরফেন রাদারফোর্ড।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজও দ্রুত তিনটি উইকেট হারায়। ১৯ রানের মাথায় ব্রান্ডন কিং ফিরেন ১৫ করে। ২৮ রানের মাথায় অ্যালিক আথানেজ আউট হন ৭ করে। ৩১ রানে যেতে আরও একটি উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। এবার শেই হোপ আউট হন ব্যক্তিগত ৩ রানে। সেখান থেকে ক্যাসি কার্টি ও রাদারফোর্ড চতুর্থ উইকেটে ৫৫ রান যোগ করেন দলীয় সংগ্রহে। ৮৬ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙে রাদারফোর্ডের বিদায়ে। তিনি ৫ চারে ৩০ রান করে যান। এরপর কেসি ও আমির জঙগু পঞ্চম উইকেটে ১১৫ বলে ১৩২ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন। ২১৮ রানের মাথায় কেসি ফিরেন সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে। ৮৮ বলে ১০টি চার ও ২ ছক্কায় ৯৫ রানের ইনিংস খেলে যান। ২৩৪ রানের মাথায় রোস্টন চেজ ফিরেন ব্যক্তিগত ১২ তে। সেখান থেকে আমির ও মোতি মাত্র ৫৩ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটি গড়ে ২৫ বল আগেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আমির অভিষেক ম্যাচে ৮৩ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় ১০৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে মোতি ৩ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন ৮.৫ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ। ম্যাচসেরা হন অভিষেকটা সেঞ্চুরিতে রাঙানো আমির। আর ১৬৭ রান ও ১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন রাদারফোর্ড।