গুরুদাসপুরে অবৈধ সোঁতির স্থাপনা,চায়নাদুয়ারি ও কারেন্ট জালজব্দ করে পুড়িয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত
- আপডেট সময় : ০৭:১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৪ বার পঠিত
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে আত্রাই নদী থেকে ৭টি সোঁতি জাল,৩ টি সোঁতির অবকাঠামো ও স্থাপনা ও ১০টি ৪০০ মিটার চায়নাদুয়ারি জাল এবং চাচকৈড় বাজার থেকে ১০ হাজার মিটার কারন্ট জাল জব্দ করে চাচকৈড় বাঁশ হাটা ঘাটে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা জানান,মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহি অফিসার সালমা আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে উপজেলার আত্রাই নদীর সাবগাড়ি বাজার,রাবার ড্যাম,দুর্গাপুর ও হরদমা খাল থেকে ৩টি সোঁতির অবকাঠামো ও স্থাপনা,৭টি সোঁতি জাল,৪০০ মিটার ১০টি চায়না দুয়ারি জাল এবং চাঁচকৈড় হাটে বিক্রির সময় ব্যবসায়ির দোকান থেকে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ টাকা।
এলাকাবাসির অভিযোগে জানা যায়,উপজেলার আত্রাই নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বাঁধা প্রদান ও নদীকে সংকুচিত করে অবৈধভাবে বাঁশ-বেড়ার অবকাঠামো দিয়্যে স্থাপনা নির্মান করে সোঁতিজালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের মহোৎসবে মেতেছিল এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই পালিয়ে যান তারা। উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের এ অভিযান বাস্তবায়নে পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা আরো জানান এ ব্যপারে কোন মামলা হয় নাই বা কেউ গ্রেফতার হয় নাই। তবে অভিযান চলামান থাকবে।
ইউএনও সালমা আক্তার বলেন,মৎস্য আইনসমূহ বাস্তবায়নে আইনে নিষিদ্ধ অবৈধ চায়না দুয়ারি ও সোঁতিজালের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী যেই হোক তাকে বা তাদেরকে অয়াইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক জেল-জরিমানাও করা হবে।