চাটমোহরের সমাজ শাহী মসজিদের কমিটি গঠণ ও মুয়াজ্জিন নিয়ে দ্বন্দ্ব
- আপডেট সময় : ০৪:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ৩০৪ বার পঠিত
পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ আশরাফ জিন্দানী (রঃ) ওয়াকফ এস্টেট শাহী মসজিদের কমিটি গঠণ,মুয়াজ্জিন নিয়োগ ও সম্মানী ভাতা প্রদান নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
একাধিক অভিযোগ ও সুত্রে জানা গেছে,বিগত ১৫/০২/২০২৩ ইং তারিখে সমাজ আশরাফ জিন্দানী (রঃ) ওয়াকফ এস্টেট শাহী মসজিদ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু একাধিবার উদ্যোগ নিয়েও কমিটি গঠণ করা হয়নি। একাধিক সূত্র জানায়,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা না করে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য ওয়াকফ এস্টেটের দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
এদিকে শাহী মসজিদের পূর্বের মুয়াজ্জিন মোঃ ইব্রাহীম হোসেনকে কোন প্রকার বরখাস্ত কিংবা চাকুরি থেকে অব্যাহতি না দিয়ে ওই মসজিদ কর্তৃক পরিচালিত মাদ্রাসার ক্বারী শিক্ষক হাফেজ মোঃ রেজাউল করিমকে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব হয়। ইব্রাহীম হোসেনকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি এবং তাকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ক্বারী শিক্ষক রেজাউল করিমকে মুয়াজ্জিন হিসেবে বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়েছে। ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ইব্রাহীম হোসেনের চাকুরি ও বকেয়া বেতন-ভাতা। এদিকে হাফেজ রেজাউল করিমও অব্যাহতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন।
এলাকাবাসী শাহী মসজিদের পরিচালনা কমিটি সর্বসম্মতি সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠণ করাসহ ক্বারী শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমের নিয়োগ বাতিল ও ইব্রাহীম হোসেনকে পুনর্বহালের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদনপত্র দাখিল করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ রেজাউল করিম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষক হিসেবেও চাকুরি করেন। তিনি নিয়মিত মসজিদে আযান দেন না। মাদ্রাসায় না পড়ানোর কারণে শিক্ষার্থী কমে গেছে। অথচ তাকে বকেয়া বেতন দেওয়া হয়েছে।
সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন জানান,কমিটির বিভিন্ন সভায় মুয়াজ্জিনের বিষয়ে আলোচনা করা হলেও কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। ফলে মুয়াজ্জিন নিয়ে ঝামেলা রয়েই গেছে। তাছাড়া মুয়াজ্জিন ইব্রাহীম হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন সত্যতা মেলেনি। তারপরও রেজাউল করিমকে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটি পাঠানোর বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।
মুয়াজ্জিন ইব্রাহীম হোসেন বলেন,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে আমাকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়নি। আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ ও যোগদানপত্র রয়েছে। আমার বকেয়া বেতন-ভাতাও দেওয়া হচ্ছেনা।
হাফেজ রেজাউল করিম দাবি করেন তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী হান্নান তাকে ভুল বুঝিয়ে অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেদুয়ানুল হালিম বলেন,যাদের দিয়ে কমিটি গঠণ করা হচ্ছে,তারা তো এলাকারই। তাছাড়া রেজাউল করিম মুয়াজ্জিন পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। ইব্রাহীম হোসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাকে নেওয়া যাবেনা। যা করা হয়েছে,তা আইনের মধ্যেই করা হয়েছে।