চাটমোহরের হান্ডিয়ালে মহাদেব মন্দির ও মূর্তি ভাঙ্চুর,আটক ২
- আপডেট সময় : ০৯:২৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ৯৯ বার পঠিত
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাদেব মন্দির ও মন্দিরে রাখা দুটি মহাদেব মূর্তি ভাঙ্চুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ (১০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ২জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধ জনতা আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘিরে রেখেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,হান্ডিয়ালের বল্লভপুর গ্রামের কালাচাদ সরকারের ছেলে প্রশান্ত কুমার সনকার দুদিন আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করে পোস্ট দেন। এ ঘটনায় হান্ডিয়ালের ছাত্র-জনতা শনিবার রাতে বিক্ষোভ করে প্রশান্তের বিচার দাবি করেন। রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম ও থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম হান্ডিয়ালে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে বৈঠক করে পরিবেশ শান্ত করেন। বিক্ষোভকারীরা হান্ডিয়াল বাজারের হিন্দু ব্যবসায়ীদের সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেন। আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাটমোহরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল ও থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম হান্ডিয়ালে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে হিন্দু ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খুলে দেন।
কিন্তু রবিবার রাত ৮টার দিকে প্রশান্তের বিচার ও শাস্তির দাবিতে আবারো বিক্ষোভ শুরু হয়। শত শত মানুষ এতে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা হান্ডিয়াল বাজার থেকে পাশের গ্রাম বল্লভপুর গিয়ে সেখানকার মহাদেব মন্দির ও মন্দিরে থাকা দুটি মূর্তি ভাংচুর করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ২জনকে আটক করে। চাটমোহর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হান্ডিয়ালে বসবাসরত হিন্দুরা চরম আতংকে রয়েছেন। এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতংক বিরাজ করছে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম ও থানার ওসি মঞ্জুরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মোবাইল রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।