চাটমোহরে অবৈধ সোঁতিবাঁধে মৎস্য নিধনের উৎসব
- আপডেট সময় : ০৪:২৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ৪১ বার পঠিত
পাবনার চাটমোহরে বিভিন্ন নদীর মাঝখানে,ক্যানেলে ও বিলের মুখে পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ সোঁতিবাঁধ স্থাপন করে মৎস্য নিধনে মেতে উঠেছে। চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে সোঁতিবাঁধে মৎস্য নিধনের যেন উৎসব শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই এই সোঁতিবাঁধ স্থাপন করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে নামকাওয়াস্তে দু’একটি সোঁতিবাঁধ অপসারণ করলেও অধিকাংশ সোঁতিবাঁধ অপসারণে কোন পদক্ষেপ নেই। এমনকি একটি সোঁতিবাঁধের পাশ দিয়ে গিয়ে অন্যটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উপজেলার চিকনাই নদীর বিভিন্ন স্থানে অন্ততঃ ৫টি স্থানে সোঁতিবাঁধ বসানো হয়েছে। এসব সোঁতিবাঁধের ফলে আশপাশের বিলের পানি নিষ্কাশনে চরম বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খলিশাগাড়ি বিলের পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে কিনু সরকারের জোলায় অবৈধ সোঁতিবাঁধ বসিয়েছে প্রভাবশালীরা। সোঁতিবাঁধ স্থাপনকারীরা কৃষির ক্ষতি করে মাছ নিধনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্থানে ম্যানেজ করে এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে দু’একটি সোঁতিবাঁধ উচ্ছেদ করলেও অধিকাংশ সোঁতিবাঁধ নির্বিঘেœ চালানো হচ্ছে। সোঁতিবাঁধ স্থাপনের ফলে বিভিন্ন বিলের পানি নিষ্কাশনর চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর ফলে আসন্ন রবিশস্য আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বুধবার (৬ নভেম্বর) কিনু সরকারের জোলায় স্থাপন করা একটি সোঁতিবাঁধ অপসারণ করে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর। একই বাঁধটি গত সোমবার (৪ নভেম্বর) অপসারণ করা হয়েছিল। অথচ এই জোলাতেই আরো দু’টি সোঁতিবাঁধ রয়েছে। একটি সোঁতিবাঁধের পাশ দিয়ে গিয়ে আরেকটি বাঁধ অপসারণ করা হলেও অন্য দু’টি উচ্ছেদ করা হয়নি। এরআগে গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের দাঁথিয়া কয়রাপাড়া ও হোগলবাড়িয়া এলাকায় চিকনাই নদীর উপর স্থাপিত একটি সোঁতিবাঁধ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেদুয়ানুল হালিম অপসারন করলেও ২/৩ ঘন্টা পরেই সেটি ফের স্থাপন করে মাছ নিধন শুরু করেছে প্রভাবশালীরা। চিকনাই নদীতে একাধিক সোঁতিবাঁধ স্থাপন করে মাছ নিধনে মেতে উঠেছে একটি মহল। এলাকাবাসী জানান,সোঁতিবাঁধ স্থাপনকারীরা ম্যানেজ করেই এই অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। চিকনাই নদী আর কিনু সরকারের জোলায় থাকা অন্ততঃ ৫টি অবৈধ সোঁতিজালে মহা উৎসাহে চলছে মৎস্য নিধন। এ সকল সোঁতিজালের মাছ চলে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেদুয়ানুল হালিম ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আঃ মতিন বলেন,সকল সোঁতিবাঁধ অপসারণ করা হবে। অবৈধ সোঁতিবাঁধ উচ্ছেদের অভিযান চলমান আছে। কিন্তু তাঁদের কথার তেমন কোন প্রতিফলন নেই।