ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাটমোহরে নদী ও গাঙে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ ও দোষীদের শান্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আমাদের বড়াল ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ ৭৭ বার পঠিত

পাবনার চাটমোহরে গুমানী ও বড়াল নদী ও নিমাইচড়া গাঙে অবৈধভাবে মাটি ও বালি কাটার বিরুদ্ধে
স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষনা
দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নে কুমারগাড়া গ্রামে বড়াল
বিদ্যা নিকেতন চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য জয়দেব কুন্ডু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)'র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম
সম্পাদক ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সজিব এস এম মিজানুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে বলা
হয়,চাটমোহরের গুমানী ও বড়াল নদী এবং নিমাইচড়া গাঙে এলাকার প্রভাবশালী নদী খেকো গোষ্ঠী কোন
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দিনে রাতে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে নদীর
অবকাঠামো ধ্বংস করাসহ পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন এবং চলনবিল
রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে বারবার উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে মাটি কাটা বন্ধ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে কোন কার্যকর
পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিলেও কোন এক
অদৃশ্য কারণে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়,সরকার যেখানে নদী,হাওর,
বিল,জলাশয় রক্ষার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন কেন যেন সেই মর্মার্থ
অনুধাবন করতে পারছে না।
এস এম মিজানুর রহমান বলেন,বড়াল নদী প্রতিদিনই দখল-দূষণ করা হচ্ছে। উপজেলা নদী রক্ষা কমিটি
থাকলেও তার কোন সভা কখনোই হয় না। এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে
বারবার তাগাদা দিয়েও সভা করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রহস্যজনক ভূমিকা নদী রক্ষার
অন্তরায়। এ বিষয়ে বাপার পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে নদীর মাটি ও বালি উত্তোলনকারী ও দখল দূষণকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি
প্রদানের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন পরিবেশবাদী নদী প্রেমী ও এলাকার
মানুষদের সংগঠিত করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোর জবাবে আয়োজককারীরা বলেন,ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা প্রশাসনকে ম্যানেজ
করেই এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল
উদ্দিন,পরিতোষ সরকারসহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রেদুয়ানুল হালিম বলেন,আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা
করে এক্সেভেটরের ব্যাটারি খুলে নিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে পদকে।সপ নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

চাটমোহরে নদী ও গাঙে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ ও দোষীদের শান্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

পাবনার চাটমোহরে গুমানী ও বড়াল নদী ও নিমাইচড়া গাঙে অবৈধভাবে মাটি ও বালি কাটার বিরুদ্ধে
স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষনা
দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নে কুমারগাড়া গ্রামে বড়াল
বিদ্যা নিকেতন চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য জয়দেব কুন্ডু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)'র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম
সম্পাদক ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সজিব এস এম মিজানুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে বলা
হয়,চাটমোহরের গুমানী ও বড়াল নদী এবং নিমাইচড়া গাঙে এলাকার প্রভাবশালী নদী খেকো গোষ্ঠী কোন
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দিনে রাতে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে নদীর
অবকাঠামো ধ্বংস করাসহ পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন এবং চলনবিল
রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে বারবার উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে মাটি কাটা বন্ধ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে কোন কার্যকর
পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিলেও কোন এক
অদৃশ্য কারণে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়,সরকার যেখানে নদী,হাওর,
বিল,জলাশয় রক্ষার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন কেন যেন সেই মর্মার্থ
অনুধাবন করতে পারছে না।
এস এম মিজানুর রহমান বলেন,বড়াল নদী প্রতিদিনই দখল-দূষণ করা হচ্ছে। উপজেলা নদী রক্ষা কমিটি
থাকলেও তার কোন সভা কখনোই হয় না। এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে
বারবার তাগাদা দিয়েও সভা করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রহস্যজনক ভূমিকা নদী রক্ষার
অন্তরায়। এ বিষয়ে বাপার পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে নদীর মাটি ও বালি উত্তোলনকারী ও দখল দূষণকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি
প্রদানের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বাপা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন পরিবেশবাদী নদী প্রেমী ও এলাকার
মানুষদের সংগঠিত করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোর জবাবে আয়োজককারীরা বলেন,ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা প্রশাসনকে ম্যানেজ
করেই এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল
উদ্দিন,পরিতোষ সরকারসহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রেদুয়ানুল হালিম বলেন,আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা
করে এক্সেভেটরের ব্যাটারি খুলে নিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে পদকে।সপ নেওয়া হবে।