ঢাকা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাটমোহরে পতিতাসহ মসজিদের দুই ইমাম আটক!

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ ১১৯ বার পঠিত

পাবনার চাটমোহরে মসজিদের ভেতরের স্টোর রুম থেকে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় মসজিদের দুই ইমামকে আটক করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামের জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। পরে গলধোলাই দিয়ে অভিযুক্ত দুই ইমাম এবং ওই নারীকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই ইমাম হলেন,বেজপাড়া জামে মসজিদের ওয়াক্তিয়া নামাজের ইমাম ও উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চিরইল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে হাফেজ মোঃ ফরহাদ হোসেন (২৮) এবং তার সহযোগী একই ইউনিয়নের জগতলা গ্রামের দিলবার হোসেনের ছেলে হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (২৯)। নজরুল স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। এ ঘটনায় বুধবার সকালে বেজপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৬।
অভিযুক্ত দুই ইমাম এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে হাফেজ মোঃ ফরহাদ হোসেন বেজপাড়া জামে মসজিদে ওয়াক্তিয়া নামাজের ইমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তারা দু’জন চাটমোহর পৌর শহর থেকে উপজেলার ধরইল এলাকার জনৈক এক নারীকে (পতিতা) ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে অটোভ্যান যোগে বেজপাড়া জামে মসজিদে নিয়ে যান।
পরে রাত বাড়ার সাথে সাথে তারা দু’জন ওই নারীকে (পতিতা) নিয়ে মসজিদের ভেতরের স্টোর রুমে প্রবেশ করেন। এরপর স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে এবং বাইরে থেকে মসজিদের গেটে তালা দেয়। খবর পেয়ে মসজিদ কমিটির লোকজন ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযুক্ত দুইজন এবং ওই নারীকে বাইরে বের করে আনেন। এরপর এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে গণধোলাই দেওয়া শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অভিযুক্ত দুই ইমাম এবং ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে বেজপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। তারা দুই জনেই বিবাহিত। এমন ঘটনা তারা ঘটাবে এটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। এদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, এমন ঘটনা আমি আমার চাকরি জীবনে কখনো পাইনি বা শুনিওনি। এর চেয়ে ঘৃণিত কাজ আর হতে পারে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের ৩ জনকেই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে

ট্যাগস :

চাটমোহরে পতিতাসহ মসজিদের দুই ইমাম আটক!

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

পাবনার চাটমোহরে মসজিদের ভেতরের স্টোর রুম থেকে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় মসজিদের দুই ইমামকে আটক করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামের জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। পরে গলধোলাই দিয়ে অভিযুক্ত দুই ইমাম এবং ওই নারীকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই ইমাম হলেন,বেজপাড়া জামে মসজিদের ওয়াক্তিয়া নামাজের ইমাম ও উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চিরইল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে হাফেজ মোঃ ফরহাদ হোসেন (২৮) এবং তার সহযোগী একই ইউনিয়নের জগতলা গ্রামের দিলবার হোসেনের ছেলে হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (২৯)। নজরুল স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। এ ঘটনায় বুধবার সকালে বেজপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৬।
অভিযুক্ত দুই ইমাম এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে হাফেজ মোঃ ফরহাদ হোসেন বেজপাড়া জামে মসজিদে ওয়াক্তিয়া নামাজের ইমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তারা দু’জন চাটমোহর পৌর শহর থেকে উপজেলার ধরইল এলাকার জনৈক এক নারীকে (পতিতা) ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে অটোভ্যান যোগে বেজপাড়া জামে মসজিদে নিয়ে যান।
পরে রাত বাড়ার সাথে সাথে তারা দু’জন ওই নারীকে (পতিতা) নিয়ে মসজিদের ভেতরের স্টোর রুমে প্রবেশ করেন। এরপর স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে এবং বাইরে থেকে মসজিদের গেটে তালা দেয়। খবর পেয়ে মসজিদ কমিটির লোকজন ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযুক্ত দুইজন এবং ওই নারীকে বাইরে বের করে আনেন। এরপর এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে গণধোলাই দেওয়া শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অভিযুক্ত দুই ইমাম এবং ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে বেজপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। তারা দুই জনেই বিবাহিত। এমন ঘটনা তারা ঘটাবে এটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। এদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, এমন ঘটনা আমি আমার চাকরি জীবনে কখনো পাইনি বা শুনিওনি। এর চেয়ে ঘৃণিত কাজ আর হতে পারে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের ৩ জনকেই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে