ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ চলনবিলাঞ্চলের জনজীবন,হাসপাতালে বাড়ছে রোগি

বিশেষ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১১১ বার পঠিত

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাকাল জনজীবন। একটানা কয়েক দিন তীব্র দাবদাহে উপজেলা হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর,নিউমোনিয়া,ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগিরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগির সংখ্যা। রোগি দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
শনিবার (২০ এপ্রিল) চাটমোহরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রচন্ড দাবদাহের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। শিশু ওয়ার্ডে শয়্যা সংখ্যা ১০টি। ৫০ শয়্যার এই হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার দিগুন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আরমিলা আকতার বলেন,‘গরম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে জ্বর,নিউমোনিয়া,ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। ঈদেও পর থেকে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যার বেশি রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকছেন। শয্যা সংকুলান না হওয়ার রোগীদের যেমন বারান্দা ও করিডরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, একই সঙ্গে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
এ সময়ে পরামর্শ হিসেবে এই চিকিৎসক বলেন,‘তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে-লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।’
এদিকে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে প্রকৃতিতেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যাও কম। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে তীব্র গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের। অনেকেই ঘর ঠান্ডা রাখতে টিনের চালে পানি ছিটাচ্ছেন। এছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বোরো ধান চিটে হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে।

ট্যাগস :

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ চলনবিলাঞ্চলের জনজীবন,হাসপাতালে বাড়ছে রোগি

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাকাল জনজীবন। একটানা কয়েক দিন তীব্র দাবদাহে উপজেলা হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর,নিউমোনিয়া,ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগিরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগির সংখ্যা। রোগি দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
শনিবার (২০ এপ্রিল) চাটমোহরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রচন্ড দাবদাহের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। শিশু ওয়ার্ডে শয়্যা সংখ্যা ১০টি। ৫০ শয়্যার এই হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার দিগুন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আরমিলা আকতার বলেন,‘গরম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে জ্বর,নিউমোনিয়া,ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। ঈদেও পর থেকে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যার বেশি রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকছেন। শয্যা সংকুলান না হওয়ার রোগীদের যেমন বারান্দা ও করিডরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, একই সঙ্গে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
এ সময়ে পরামর্শ হিসেবে এই চিকিৎসক বলেন,‘তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে-লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।’
এদিকে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে প্রকৃতিতেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যাও কম। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে তীব্র গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের। অনেকেই ঘর ঠান্ডা রাখতে টিনের চালে পানি ছিটাচ্ছেন। এছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বোরো ধান চিটে হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে।