ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ পাবনা জেলা শাখার স্মারকলিপি প্রদান

ময়নুল হক, ভাঙ্গুড়া অফিস:
  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩৬ বার পঠিত

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তকরণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্মারকলিপি গ্রহন করেন, পাবনা জেলা প্রশাসক, কালেক্টর ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।

এসময় নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মোঃ জিলহাজ উদ্দিন নয়ন,সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল হাফিজ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু জাফর, প্রচার সম্পাদক আশিকুজ্জামান (তামিম), অধ্যক্ষ মোঃ কবির আহম্মেদ , প্রভাষক মোঃ গোলাম মোস্তফা, চলনবিল আদর্শ কলেজের আইসিটি প্রদর্শক ও চাটমোহর উপজেলা শাখার নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক—কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ময়নুল হক, প্রভাষক মোঃ জয়নুল আবেদীন জীবন প্রমুখ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ছাত্র জনতার সংগ্রামের ফসল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও সাফল্য কামনা করছি। কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আপনার উপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়। পতিত সরকারের চরম বৈষম্যের শিকার নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে বর্তমানে নতুন আশা সঞ্চারিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি দীর্ঘদিনের মানবেতর জীবনযাপনের অবসান ঘটিয়ে বর্তমান সৃজনশীল সরকার নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটাবেন। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারব। নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং সরকারের সকল আদেশ—নির্দেশ পালনে বদ্ধপরিকর। অথচ এমপিও’র দাবিতে ঢাকায় সভা—সমাবেশ, মানববন্ধনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও পিপার স্প্রে, জলকামান, টিয়ার সেল এমনকি লাঠিচার্জ করে শিক্ষক কর্মচারীদের তাড়িয়ে দিয়েছিল বিগত স্বৈরাচারী সরকার। নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
১. শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়া সরকারি, এমপিও, নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন হওয়া সত্বেও শুধুমাত্রই নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগন বেতন—ভাতা থেকে বঞ্চিত এবং চরমভাবে বৈষম্যের শিকার।

২. কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বয়স ২৫ বছর বা তার চেয়েও বেশি। অনেক শিক্ষক কর্মচারী বিনা বেতনে অবসরে গেছেন, কেউ কেউ বেতন বিহীন অবস্থায় রোগে শোকে মৃত্যুবরণ করেছেন।

৩. এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া সরকার প্রতিবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করবেন। দুঃখের বিষয় বিগত সরকার নির্বাহী আদেশে কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক বিবেচনায় শর্ত শিথিলপূর্বক এমপিওভুক্ত করেছেন। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকার পরেও অনেক নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি হতে বঞ্চিত করেছেন।
৪. প্রতিবছর বাজেটে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও অদৃশ্য কারণে এমপিওভুক্তকরণ বন্ধ রাখা হয়।

এমতাবস্থায়, বেতন বিহীন শিক্ষক কর্মচারীদের দূর্ভোগ, দুর্দশা, বঞ্চনা, বৈষম্যের কথা বিবেচনা করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন

এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও এক বিভাগধারী ডিগ্রি কলেজ) একযোগে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এমপিওভূক্তির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য নতুন বাংলাদেশের শিক্ষাবান্ধব অভিভাবক হিসেবে আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানান।

ট্যাগস :

নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ পাবনা জেলা শাখার স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় : ০৮:২৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তকরণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্মারকলিপি গ্রহন করেন, পাবনা জেলা প্রশাসক, কালেক্টর ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।

এসময় নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মোঃ জিলহাজ উদ্দিন নয়ন,সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল হাফিজ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু জাফর, প্রচার সম্পাদক আশিকুজ্জামান (তামিম), অধ্যক্ষ মোঃ কবির আহম্মেদ , প্রভাষক মোঃ গোলাম মোস্তফা, চলনবিল আদর্শ কলেজের আইসিটি প্রদর্শক ও চাটমোহর উপজেলা শাখার নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক—কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ময়নুল হক, প্রভাষক মোঃ জয়নুল আবেদীন জীবন প্রমুখ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ছাত্র জনতার সংগ্রামের ফসল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও সাফল্য কামনা করছি। কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আপনার উপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়। পতিত সরকারের চরম বৈষম্যের শিকার নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে বর্তমানে নতুন আশা সঞ্চারিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি দীর্ঘদিনের মানবেতর জীবনযাপনের অবসান ঘটিয়ে বর্তমান সৃজনশীল সরকার নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটাবেন। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারব। নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং সরকারের সকল আদেশ—নির্দেশ পালনে বদ্ধপরিকর। অথচ এমপিও’র দাবিতে ঢাকায় সভা—সমাবেশ, মানববন্ধনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও পিপার স্প্রে, জলকামান, টিয়ার সেল এমনকি লাঠিচার্জ করে শিক্ষক কর্মচারীদের তাড়িয়ে দিয়েছিল বিগত স্বৈরাচারী সরকার। নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
১. শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়া সরকারি, এমপিও, নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন হওয়া সত্বেও শুধুমাত্রই নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগন বেতন—ভাতা থেকে বঞ্চিত এবং চরমভাবে বৈষম্যের শিকার।

২. কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বয়স ২৫ বছর বা তার চেয়েও বেশি। অনেক শিক্ষক কর্মচারী বিনা বেতনে অবসরে গেছেন, কেউ কেউ বেতন বিহীন অবস্থায় রোগে শোকে মৃত্যুবরণ করেছেন।

৩. এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া সরকার প্রতিবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করবেন। দুঃখের বিষয় বিগত সরকার নির্বাহী আদেশে কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক বিবেচনায় শর্ত শিথিলপূর্বক এমপিওভুক্ত করেছেন। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকার পরেও অনেক নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি হতে বঞ্চিত করেছেন।
৪. প্রতিবছর বাজেটে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও অদৃশ্য কারণে এমপিওভুক্তকরণ বন্ধ রাখা হয়।

এমতাবস্থায়, বেতন বিহীন শিক্ষক কর্মচারীদের দূর্ভোগ, দুর্দশা, বঞ্চনা, বৈষম্যের কথা বিবেচনা করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন

এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও এক বিভাগধারী ডিগ্রি কলেজ) একযোগে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এমপিওভূক্তির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য নতুন বাংলাদেশের শিক্ষাবান্ধব অভিভাবক হিসেবে আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানান।