ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় চায়না দুয়ারি জালে আটকা পড়ল ভয়ঙ্কর রাসেল ভাইপার

পাবনা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৪:১৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩ ৮০ বার পঠিত

পাবনা সদর উপজেলার চরাঞ্চলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে ধরা পড়েছে দেশের বিলুপ্তপ্রায় বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। খবর পেয়ে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের সদস্যরা সাপটি উদ্ধার করেন।
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার হিমায়েতপুরের চর ভবানীপুর গ্রামের এক জেলের চায়না দুয়ারিতে আটকা পড়ে সাপটি। পরে তা উদ্ধার করে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্নেক রেসকিউ কমিটির সদস্যরা।
টিমের অভিজ্ঞ রেসকিউয়ার এবং সভাপতি রাজু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার সকালে আমাদের হটলাইনে একটি ফোন আসে। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিমের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম সুর রায়কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল যাই এবং সাপটিকে উদ্ধার করি।’
সাপটিকে উদ্ধারের পর সেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির পর সাপের কামড়ে করণীয় সম্পর্কে তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। উদ্ধার করা সাপটি পরবর্তী সময় বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
প্রীতম সুর রায় জানান, রাসেল ভাইপার হচ্ছে ঠরঢ়বৎরফধব পরিবারের একটি মারাত্মক বিষধর সাপ। যে চারটি সাপের কামড়ে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ বেশি আক্রান্ত হন, সেগুলোর মধ্যে রাসেল ভাইপার অন্যতম। এদের বিষ মূলত হেমোটক্সিক। তবে এলাকাভিত্তিতে এদের বিষের প্রয়োগ মাত্রা এবং বিষের উপাদানের পরিমাণে কম-বেশি পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
এ বিষয়ে পাবনা অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। রাসেল ভাইপার আমাদের দেশের সাপ নয়, এগুলো ভারত থেকে আসে। ভারত হয়ে পদ্মা নদী দিয়ে রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও পাবনার কিছু অঞ্চলে এগুলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।’

ট্যাগস :

পাবনায় চায়না দুয়ারি জালে আটকা পড়ল ভয়ঙ্কর রাসেল ভাইপার

আপডেট সময় : ০৪:১৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

পাবনা সদর উপজেলার চরাঞ্চলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে ধরা পড়েছে দেশের বিলুপ্তপ্রায় বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। খবর পেয়ে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের সদস্যরা সাপটি উদ্ধার করেন।
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার হিমায়েতপুরের চর ভবানীপুর গ্রামের এক জেলের চায়না দুয়ারিতে আটকা পড়ে সাপটি। পরে তা উদ্ধার করে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্নেক রেসকিউ কমিটির সদস্যরা।
টিমের অভিজ্ঞ রেসকিউয়ার এবং সভাপতি রাজু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার সকালে আমাদের হটলাইনে একটি ফোন আসে। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিমের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম সুর রায়কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল যাই এবং সাপটিকে উদ্ধার করি।’
সাপটিকে উদ্ধারের পর সেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির পর সাপের কামড়ে করণীয় সম্পর্কে তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। উদ্ধার করা সাপটি পরবর্তী সময় বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
প্রীতম সুর রায় জানান, রাসেল ভাইপার হচ্ছে ঠরঢ়বৎরফধব পরিবারের একটি মারাত্মক বিষধর সাপ। যে চারটি সাপের কামড়ে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ বেশি আক্রান্ত হন, সেগুলোর মধ্যে রাসেল ভাইপার অন্যতম। এদের বিষ মূলত হেমোটক্সিক। তবে এলাকাভিত্তিতে এদের বিষের প্রয়োগ মাত্রা এবং বিষের উপাদানের পরিমাণে কম-বেশি পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
এ বিষয়ে পাবনা অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। রাসেল ভাইপার আমাদের দেশের সাপ নয়, এগুলো ভারত থেকে আসে। ভারত হয়ে পদ্মা নদী দিয়ে রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও পাবনার কিছু অঞ্চলে এগুলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।’