ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় মাছ চাষের জন্য নদী ইজারার প্রস্তুতি,বেলার লিগ্যাল নোটিশ

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৪৮ বার পঠিত

পাবনা জেলা প্রশাসনের জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি জেলার নয়টি উপজেলার বড়াল,গুমানী,চিকনাই নদীর অংশসহ ৬৩টি জলমহাল ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এনিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইজারা বন্ধে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) লিগ্যাল নোটি দিয়েছে। বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির পক্ষ থেকে ইজারা বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে
চলনবিলের অন্যতম প্রধান নদ বড়াল। ক্রমাগত দখল,দূষণ আর অপরিকল্পিত উন্নয়নে এক সময়ের প্রমত্তা বড়াল এখন মরা নদে পরিণত হয়েছে। অনেক স্থানে নদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। চলনবিলের অন্তর্গত পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই বড়ালের ভাঙ্গুড়া উপজেলার দুটি অংশ এবার জলমহাল হিসেবে ঘোষণা করে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পাবনা জেলা প্রশাসন। শুধু বড়ালই নয়,চলনবিলের বিভিন্ন উপজেলার আত্রাই,গুমানি, চিকনাই নদীর বিভিন্ন অংশ একইভাবে জলমহাল হিসেবে ইজারা দেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে নদীর বিভিন্ন অংশ ইজারা প্রদানের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গতকাল মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন। বেলার আইনজীবি এ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা “নোটিশ অব ডিমান্ড জাস্টিস” নামে এই নোটিশ প্রদান করেন। ইজারা কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে নোটিশে বলা হয়েছে,গৃহীত পদক্ষেপ পত্র প্রেরণের ৭ দিনের মধ্যে অবহিত করতে হবে। সচিব,ভূমি মন্ত্রণালয়,পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়,স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়,কৃষি মন্ত্রণালয়,চেয়ারম্যান,জাতীয় নদী কমিশন,মহাপরিচালক,পরিবেশ অধিদপ্তর,মহাপরিচালক,পানি উন্নয়ন বোর্ড,জেলা প্রশাসক,পাবনা,পুলিশ সুপার,পাবনা,পরিচালক,পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে এই নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বড়াল রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান ইজারা বন্ধের আবেদন জানিয়ে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদনপত্র দিয়েছেন।
গত ১৪ জানুয়ারি পাবনা জেলা প্রশাসনের জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি জেলার নয়টি উপজেলার ৬৩টি জলমহাল ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। দৈনিক আমাদের বড়াল বিজ্ঞপ্তির একটি অনুলিপি পেয়েছে যাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই জলাশয়গুলো তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঘোষিত ৬৩টি জলমহালের ৩১টিই জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত ১০টি নদীর অংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পাবনার ইছামতী,পদ্মার কোল,আত্রাই,চন্দ্রাবতী,বড়াল,চিকনাই,গুমানি,গোহালা,কাগেশ্বরী ও রুকনাই নদীর বিভিন্ন অংশকে জলমহাল হিসেবে ঘোষণা করে লিজ আহ্বান করা হয়েছে। এর মধ্যে পাবনা সদর উপজেলার ইছামতী নদীর ৮টি পয়েন্টে ও পদ্মা নদীর কোলের তিনটি অংশে,আটঘরিয়া উপজেলার ৮৫ দশমিক ৩০ একর চন্দ্রাবতী নদী,ইছামতী নদীর এক অংশ,চাটমোহর উপজেলার চিকনাই নদীর তিনটি অংশ,আত্রাই নদীর একটি অংশ,ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়াল নদীর দুটি অংশ ও গুমানি নদীর একটি অংশ,ফরিদপুর উপজেলার চিকনাই নদীর একটি অংশ,রুকনাই নদীর একটি অংশ,গোহালা নদীর একটি অংশ,বেড়া উপজেলার কাগেশ্বরী নদীর একটি অংশ ও সাথিয়া উপজেলার কাগেশ্বরী নদীর দুটি অংশ, ইছামতী নদীর চারটি অংশ রয়েছে। তবে এর মধ্যে থেকে আটঘরিয়া উপজেলার ইছামতী নদীর অংশ ইছামতী পুনরদ্ধার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ অংশ লিজ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জলমহাল ইজারার নামে নদীর বিভিন্ন অংশ জলমহাল হিসেবে লিজ দেওয়ার উদ্যোগে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব চাটমোহরের এস এম মিজানুর রহমান দৈনিক আমাদের বড়ালকে বলেন, প্রবাহিত নদীকে কখনই এভাবে লিজ দেওয়া যায় না। বড়াল নদীকে রক্ষার জন্য আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন করে আসছি” ইতোপূর্বে আন্দোলন করে চাটমোহরে বড়াল নদীর লিজ বাতিল করা হয়েছে। মাছ ধরার জন্য লিজ নিয়ে প্রভাবশালীরা পুরো নদীতে দখলদারত্ব চালিয়ে আসছে দিনের পর দিন। নদীকে প্রবাহিত রাখতে নদীতে এ ধরনের লিজ বন্ধের দাবি জানান তিনি।
পাবনা জেলা পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান বলেছেন, নদী ও জলমহাল এক বিষয় নয়। নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা হলেও নদীর বিভিন্ন অংশকে জলমহাল হিসেবে লিজ দেওয়ার উদ্যোগ নদীর জীবন্ত সত্ত্বাকে অস্বীকার করা হয়। প্রকৃতি ও পরিবেশের স্বার্থে নদী রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
পাবনা জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা আরডিসি (রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর) ফারিস্তা করিম গণমাধ্যমকে বলেন, সব কিছু নিয়েম মেনেই করা হচ্ছে। নতুন করে জলমহাল ঘোষণা করা হয়নি। যে জলমহালগুলো আগে ইজারা দেওয়া হয়েছে,ইজারার জন্য সেগুলোই উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। পূর্বের ফাইল অনুসরণ করেই কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,৬৩টি জলমহাল তিন বছরের জন্য (১৪৩১ থেকে ১৪৩৩ বাংলা সন) লিজ নেওয়ার জন্য প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ৩ ফাল্গুনের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জলমহাল ইজারা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। আবেদন পাওয়ার পর যাচাই বাছাই করে জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি ইজারার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

পাবনায় মাছ চাষের জন্য নদী ইজারার প্রস্তুতি,বেলার লিগ্যাল নোটিশ

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাবনা জেলা প্রশাসনের জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি জেলার নয়টি উপজেলার বড়াল,গুমানী,চিকনাই নদীর অংশসহ ৬৩টি জলমহাল ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এনিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইজারা বন্ধে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) লিগ্যাল নোটি দিয়েছে। বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির পক্ষ থেকে ইজারা বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে
চলনবিলের অন্যতম প্রধান নদ বড়াল। ক্রমাগত দখল,দূষণ আর অপরিকল্পিত উন্নয়নে এক সময়ের প্রমত্তা বড়াল এখন মরা নদে পরিণত হয়েছে। অনেক স্থানে নদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। চলনবিলের অন্তর্গত পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই বড়ালের ভাঙ্গুড়া উপজেলার দুটি অংশ এবার জলমহাল হিসেবে ঘোষণা করে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পাবনা জেলা প্রশাসন। শুধু বড়ালই নয়,চলনবিলের বিভিন্ন উপজেলার আত্রাই,গুমানি, চিকনাই নদীর বিভিন্ন অংশ একইভাবে জলমহাল হিসেবে ইজারা দেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে নদীর বিভিন্ন অংশ ইজারা প্রদানের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গতকাল মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন। বেলার আইনজীবি এ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা “নোটিশ অব ডিমান্ড জাস্টিস” নামে এই নোটিশ প্রদান করেন। ইজারা কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে নোটিশে বলা হয়েছে,গৃহীত পদক্ষেপ পত্র প্রেরণের ৭ দিনের মধ্যে অবহিত করতে হবে। সচিব,ভূমি মন্ত্রণালয়,পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়,স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়,কৃষি মন্ত্রণালয়,চেয়ারম্যান,জাতীয় নদী কমিশন,মহাপরিচালক,পরিবেশ অধিদপ্তর,মহাপরিচালক,পানি উন্নয়ন বোর্ড,জেলা প্রশাসক,পাবনা,পুলিশ সুপার,পাবনা,পরিচালক,পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে এই নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বড়াল রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান ইজারা বন্ধের আবেদন জানিয়ে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদনপত্র দিয়েছেন।
গত ১৪ জানুয়ারি পাবনা জেলা প্রশাসনের জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি জেলার নয়টি উপজেলার ৬৩টি জলমহাল ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। দৈনিক আমাদের বড়াল বিজ্ঞপ্তির একটি অনুলিপি পেয়েছে যাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই জলাশয়গুলো তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঘোষিত ৬৩টি জলমহালের ৩১টিই জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত ১০টি নদীর অংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পাবনার ইছামতী,পদ্মার কোল,আত্রাই,চন্দ্রাবতী,বড়াল,চিকনাই,গুমানি,গোহালা,কাগেশ্বরী ও রুকনাই নদীর বিভিন্ন অংশকে জলমহাল হিসেবে ঘোষণা করে লিজ আহ্বান করা হয়েছে। এর মধ্যে পাবনা সদর উপজেলার ইছামতী নদীর ৮টি পয়েন্টে ও পদ্মা নদীর কোলের তিনটি অংশে,আটঘরিয়া উপজেলার ৮৫ দশমিক ৩০ একর চন্দ্রাবতী নদী,ইছামতী নদীর এক অংশ,চাটমোহর উপজেলার চিকনাই নদীর তিনটি অংশ,আত্রাই নদীর একটি অংশ,ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়াল নদীর দুটি অংশ ও গুমানি নদীর একটি অংশ,ফরিদপুর উপজেলার চিকনাই নদীর একটি অংশ,রুকনাই নদীর একটি অংশ,গোহালা নদীর একটি অংশ,বেড়া উপজেলার কাগেশ্বরী নদীর একটি অংশ ও সাথিয়া উপজেলার কাগেশ্বরী নদীর দুটি অংশ, ইছামতী নদীর চারটি অংশ রয়েছে। তবে এর মধ্যে থেকে আটঘরিয়া উপজেলার ইছামতী নদীর অংশ ইছামতী পুনরদ্ধার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ অংশ লিজ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জলমহাল ইজারার নামে নদীর বিভিন্ন অংশ জলমহাল হিসেবে লিজ দেওয়ার উদ্যোগে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব চাটমোহরের এস এম মিজানুর রহমান দৈনিক আমাদের বড়ালকে বলেন, প্রবাহিত নদীকে কখনই এভাবে লিজ দেওয়া যায় না। বড়াল নদীকে রক্ষার জন্য আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন করে আসছি” ইতোপূর্বে আন্দোলন করে চাটমোহরে বড়াল নদীর লিজ বাতিল করা হয়েছে। মাছ ধরার জন্য লিজ নিয়ে প্রভাবশালীরা পুরো নদীতে দখলদারত্ব চালিয়ে আসছে দিনের পর দিন। নদীকে প্রবাহিত রাখতে নদীতে এ ধরনের লিজ বন্ধের দাবি জানান তিনি।
পাবনা জেলা পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান বলেছেন, নদী ও জলমহাল এক বিষয় নয়। নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা হলেও নদীর বিভিন্ন অংশকে জলমহাল হিসেবে লিজ দেওয়ার উদ্যোগ নদীর জীবন্ত সত্ত্বাকে অস্বীকার করা হয়। প্রকৃতি ও পরিবেশের স্বার্থে নদী রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
পাবনা জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা আরডিসি (রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর) ফারিস্তা করিম গণমাধ্যমকে বলেন, সব কিছু নিয়েম মেনেই করা হচ্ছে। নতুন করে জলমহাল ঘোষণা করা হয়নি। যে জলমহালগুলো আগে ইজারা দেওয়া হয়েছে,ইজারার জন্য সেগুলোই উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। পূর্বের ফাইল অনুসরণ করেই কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,৬৩টি জলমহাল তিন বছরের জন্য (১৪৩১ থেকে ১৪৩৩ বাংলা সন) লিজ নেওয়ার জন্য প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ৩ ফাল্গুনের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জলমহাল ইজারা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। আবেদন পাওয়ার পর যাচাই বাছাই করে জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি ইজারার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।