ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনার মানুষ বঞ্চিত : রাষ্ট্রপতি

পাবনা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১১ বার পঠিত

রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন পাবনার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে বলেছেন, আমার কোনো দায় (পাবনার উন্নয়নে) নেই, আমি পাবনার মানুষ, পাবনার সন্তান, পাবনায় জন্মগ্রহণ করছি। পাবনার মানুষ এত বঞ্চিত। এগুলো বিবেকের তাড়নায় করতে হয় এবং করাটা আমার দায়িত্ব।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি পাস হওয়া পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সবাইকে আমি ডেকে যখন বললাম, তখন সকলেই বিস্মিত হলো। তার মানে কী? সোজা কথা হলো যে আপনারা যাদের জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন আশা এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে সচিবালয়সহ জায়গায় জায়গায় উত্থাপনই করেনি। কারও নলেজেই নেই। তারা বিস্মিত হওয়ার পরে বললাম, রিয়েল ফ্যাক্ট। ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন সচিব ও সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলার মাধ্যমে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস করা হয়েছে। একনেকে পাস হওয়ার পর ৩০ জন ভিক্ষুককে খাওয়ানোর জন্য মানত করেছিলাম। কেউ কেউ বলে যারা এতদিন এই বিষয়টি উত্থাপনই করেনি তারা বলে, হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নাকি কী স্থাপন হবি, ওখানে গিয়ে কী হবি? এমনিই হইতো, ওমনিই হয়তো। মানে লোকজন যাতে ওখানে না আসে, এ রকম একটা নেগেটিভ পাবলিসিটি হয়েছে। যারা ব্যর্থ তারা তো এটা করবেই।

ঢাকা-পাবনা রুটে ট্রেন চালুর অগ্রগতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, রেলমন্ত্রী ও সচিব স্বাক্ষরের পর এটি চূড়ান্তভাবে পাস হতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এটি আরেকটু যাচাই করতে বলেছেন যে, এটি হলে সরকার কতটুকু লাভবান হবে। তিনি এটা করতেই পারেন। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন এটি খুব শিগগিরই হবে। এখন কেউ এটা নিয়ে সমালোচনা করতেই পারেন। নাও করতে পারেন। এটা তার হৃদয়ের উদারতা। আমার যতটুকু করার ততটুকু করছি। আমি যে সেপ্টেম্বর বলে দিলাম আর সেপ্টেম্বরে হয়ে গেল এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আমার বলার প্রেক্ষাপটটা একটু বিবেচনা করবেন। সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া- এটা হয় না। কোনো সময় হয়ে যায়, কোনো সময় হয় না।
এ সময় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি শহিদুর রহমান শহীদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছান। এরপর ৪টা ৩০ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। তিনি সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করেন।

সফর সূচি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ৫০০ শয্যার পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় সাঁথিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠান শেষে পাবনা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে পাবনা স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাডে উপস্থিত হয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন রাষ্ট্রপতি।

ট্যাগস :

পাবনার মানুষ বঞ্চিত : রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ০৯:০৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন পাবনার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে বলেছেন, আমার কোনো দায় (পাবনার উন্নয়নে) নেই, আমি পাবনার মানুষ, পাবনার সন্তান, পাবনায় জন্মগ্রহণ করছি। পাবনার মানুষ এত বঞ্চিত। এগুলো বিবেকের তাড়নায় করতে হয় এবং করাটা আমার দায়িত্ব।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি পাস হওয়া পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সবাইকে আমি ডেকে যখন বললাম, তখন সকলেই বিস্মিত হলো। তার মানে কী? সোজা কথা হলো যে আপনারা যাদের জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন আশা এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে সচিবালয়সহ জায়গায় জায়গায় উত্থাপনই করেনি। কারও নলেজেই নেই। তারা বিস্মিত হওয়ার পরে বললাম, রিয়েল ফ্যাক্ট। ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন সচিব ও সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলার মাধ্যমে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস করা হয়েছে। একনেকে পাস হওয়ার পর ৩০ জন ভিক্ষুককে খাওয়ানোর জন্য মানত করেছিলাম। কেউ কেউ বলে যারা এতদিন এই বিষয়টি উত্থাপনই করেনি তারা বলে, হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নাকি কী স্থাপন হবি, ওখানে গিয়ে কী হবি? এমনিই হইতো, ওমনিই হয়তো। মানে লোকজন যাতে ওখানে না আসে, এ রকম একটা নেগেটিভ পাবলিসিটি হয়েছে। যারা ব্যর্থ তারা তো এটা করবেই।

ঢাকা-পাবনা রুটে ট্রেন চালুর অগ্রগতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, রেলমন্ত্রী ও সচিব স্বাক্ষরের পর এটি চূড়ান্তভাবে পাস হতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এটি আরেকটু যাচাই করতে বলেছেন যে, এটি হলে সরকার কতটুকু লাভবান হবে। তিনি এটা করতেই পারেন। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন এটি খুব শিগগিরই হবে। এখন কেউ এটা নিয়ে সমালোচনা করতেই পারেন। নাও করতে পারেন। এটা তার হৃদয়ের উদারতা। আমার যতটুকু করার ততটুকু করছি। আমি যে সেপ্টেম্বর বলে দিলাম আর সেপ্টেম্বরে হয়ে গেল এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আমার বলার প্রেক্ষাপটটা একটু বিবেচনা করবেন। সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া- এটা হয় না। কোনো সময় হয়ে যায়, কোনো সময় হয় না।
এ সময় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি শহিদুর রহমান শহীদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছান। এরপর ৪টা ৩০ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। তিনি সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করেন।

সফর সূচি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ৫০০ শয্যার পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় সাঁথিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠান শেষে পাবনা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে পাবনা স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাডে উপস্থিত হয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন রাষ্ট্রপতি।