ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় ভাংচুর,সভাপতি আহত

পাবনা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২৯ বার পঠিত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। পাবনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য মুস্তাকিম মুহিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা ছাত্রলীগ নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ নেতারা জানান,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কর্মীদের নির্দেশনা দিতে বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা আহ্বান করে জেলা ছাত্রলীগ।
সভার শুরুতেই শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে নিরবতা পালনের সময় হঠাৎ করেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব ও শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এসে সভার আয়োজনে তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি এমন অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তকে ধমকাতে শুরু করে। এসময় তারা আগতদের বসতে বললে,তারা চেয়ার ভাঙচুর শুরু করে ও ব্যানার ছিড়ে ফেলে। আকস্মিক হামলায় নেতাকর্মীরা ছুটাছুটি শুরু করলে সভাপতি সবুজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
এসময় বিক্ষুব্ধ সাবেক নেতারা চেয়ার তুলে আঘাত করলে কপালে লেগে আহত হন সবুজ। পরে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে সভাস্থল ত্যাগ করে আগতরা। অতঃপর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আবারও সভা শুরু করেন। পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত বলেন, কতিপয় চিহ্নিত যুবক প্রকাশ্যে এমন ন্যাক্কারজনক কাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা ছাত্রলীগের কেউ না। পরিকল্পিতভাবে তারা আক্রমণ ও সভা পন্ডের চেষ্টা করেছে। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেবো।
পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে মুহিব ছাত্রলীগে সক্রিয় নয়। তারা কোনো কারণ ছাড়াই হামলা করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
তবে, অপ্রীতিকর ঘটনার কথা স্বীকার করলেও হামলার ঘটনায় জড়িত নন বলে দাবি মুস্তাকিম মুহিবের। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত। এই সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেনি। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমও তারা স্বৈরাচারী প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করে। নির্বাচনী কমিটিগুলোতে কেনো আমাদের রাখা হচ্ছে না জানতে আমরা গিয়েছিলাম। এসময় তারা আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে বঞ্চিত কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টিকে হামলা বলে ঘটনা ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় দুইজনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভায় এই ঘটনাটি হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দেয়নি।

ট্যাগস :

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় ভাংচুর,সভাপতি আহত

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। পাবনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য মুস্তাকিম মুহিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা ছাত্রলীগ নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ নেতারা জানান,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কর্মীদের নির্দেশনা দিতে বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা আহ্বান করে জেলা ছাত্রলীগ।
সভার শুরুতেই শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে নিরবতা পালনের সময় হঠাৎ করেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব ও শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এসে সভার আয়োজনে তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি এমন অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তকে ধমকাতে শুরু করে। এসময় তারা আগতদের বসতে বললে,তারা চেয়ার ভাঙচুর শুরু করে ও ব্যানার ছিড়ে ফেলে। আকস্মিক হামলায় নেতাকর্মীরা ছুটাছুটি শুরু করলে সভাপতি সবুজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
এসময় বিক্ষুব্ধ সাবেক নেতারা চেয়ার তুলে আঘাত করলে কপালে লেগে আহত হন সবুজ। পরে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে সভাস্থল ত্যাগ করে আগতরা। অতঃপর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আবারও সভা শুরু করেন। পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত বলেন, কতিপয় চিহ্নিত যুবক প্রকাশ্যে এমন ন্যাক্কারজনক কাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা ছাত্রলীগের কেউ না। পরিকল্পিতভাবে তারা আক্রমণ ও সভা পন্ডের চেষ্টা করেছে। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেবো।
পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে মুহিব ছাত্রলীগে সক্রিয় নয়। তারা কোনো কারণ ছাড়াই হামলা করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
তবে, অপ্রীতিকর ঘটনার কথা স্বীকার করলেও হামলার ঘটনায় জড়িত নন বলে দাবি মুস্তাকিম মুহিবের। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত। এই সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেনি। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমও তারা স্বৈরাচারী প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করে। নির্বাচনী কমিটিগুলোতে কেনো আমাদের রাখা হচ্ছে না জানতে আমরা গিয়েছিলাম। এসময় তারা আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে বঞ্চিত কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টিকে হামলা বলে ঘটনা ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় দুইজনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভায় এই ঘটনাটি হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দেয়নি।