ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনের দুর্গোৎসব শেষ হল

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৯২ বার পঠিত

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর আগে মন্ডপগুলোতে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ উৎসব। হিন্দু সধবা নারীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দেন,নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। চলে মিষ্টিমুখ, ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান। প্রতিমা বিসর্জনের আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বের হয় বিজয়া শোভাযাত্রা। পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ থেকে এক এক করে প্রতিমা বের করা হয়। শঙ্খ আর উলুধ্বনি,খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী-বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে অসংখ্য মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। উপজেলার গুমানী,বড়াল,চিকনাই নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ পৃথিবীতে আসেন। আর দশমার দিন বিসর্জনের মাধ্যমে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয় তাকে। দেবীর আগমন ও প্রস্থানের মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত মাঝের পাঁচদিন নানা আয়োজনে চলে দুর্গোৎসব। চাটমোহরের বিভিন্ন জলাশয় আর নদীতে রাত ১০টা পর্যন্ত ৫৩টি মন্ডপের প্রতিমা একে একে বিসর্জন দেয়া হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাটমোহর শাখার নেতৃবৃন্দ।
এদিকে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন ও পুলিশ।
এদিকে পাবনা,সাঁথিয়া,সুজানগর,ঈশ^রদী,আটঘরিয়া,বেড়া,ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলাতেও বিপুল উৎসাহ আর আনন্দের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় বলে জানান আমাদের প্রতিনিধিরা।

ট্যাগস :

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনের দুর্গোৎসব শেষ হল

আপডেট সময় : ১০:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর আগে মন্ডপগুলোতে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ উৎসব। হিন্দু সধবা নারীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দেন,নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। চলে মিষ্টিমুখ, ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান। প্রতিমা বিসর্জনের আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বের হয় বিজয়া শোভাযাত্রা। পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ থেকে এক এক করে প্রতিমা বের করা হয়। শঙ্খ আর উলুধ্বনি,খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী-বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে অসংখ্য মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। উপজেলার গুমানী,বড়াল,চিকনাই নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ পৃথিবীতে আসেন। আর দশমার দিন বিসর্জনের মাধ্যমে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয় তাকে। দেবীর আগমন ও প্রস্থানের মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত মাঝের পাঁচদিন নানা আয়োজনে চলে দুর্গোৎসব। চাটমোহরের বিভিন্ন জলাশয় আর নদীতে রাত ১০টা পর্যন্ত ৫৩টি মন্ডপের প্রতিমা একে একে বিসর্জন দেয়া হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাটমোহর শাখার নেতৃবৃন্দ।
এদিকে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন ও পুলিশ।
এদিকে পাবনা,সাঁথিয়া,সুজানগর,ঈশ^রদী,আটঘরিয়া,বেড়া,ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলাতেও বিপুল উৎসাহ আর আনন্দের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় বলে জানান আমাদের প্রতিনিধিরা।