ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ Logo চাটমোহরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালন Logo আহত যুবদল নেতা দেখতে হাসপাতালে সাবেক এমপি Logo যুবদল নেতাকে কোপালেন আ.লীগের কর্মীরা Logo পাবনায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ২যাত্রী নিহত, আহত ৭ Logo সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল Logo মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ঈশ্বরদীতে নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা Logo ৫দিনব্যাপী ইউপি কার্যালয়ে তালা বদ্ধ ভাঙ্গুড়ায় জনতার বিক্ষোভের কারণে নিজ কার্যালয়ে ঢুকতে পারলেন না ইউপি চেয়ারম্যান Logo চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে হান্ডিয়াল ইউপি কার্যালয়ে তালা! Logo চাটমোহরেরএকই মাদ্রাসায় দু’জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ!

ফরিদপুরে বড়াল নদের ভাঙ্গনে বাড়িঘরের ক্ষতি

ফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ৪০ বার পঠিত

বড়াল নদের ভাঙ্গনে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ১২টি বাড়ি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে,ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরো ১৫টি বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন জানান,গত বছর থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এবার ভাঙ্গন বেশি হওয়ায় রেজাউল হক,রাসেল হোসেন,রাজু আহমেদ,শুভ হোসেন,আফেল হোসেন,রিপন হোসেন,আবু সাঈদ,ইদ্রিস সরকার,সুলতান সরকার,সাইফ উদ্দিন,ইছাক মোল্লা ও শাহিন মোল্লার বাড়ি বিলীন হয়েছে। বাড়িঘরের সাথে বাঁশ ঝাড় ও গাছপালাও নদের গর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ও হুমকিতে রয়েছে,ইজন মোল্লা,লোকমান হোসেন,আলম হোসেন,উকিল হোসেন,হাসু মোল্লা,এজন হোসেন,বাবু হোসেন,মনসের সরকার,স্বপন হোসেন,ইব্রাহিম হোসেন,সাদুল্লাহ হোসেন,ওহিদুল ইসলাম,মধু হোসেন,জাহিদ হোসেন ও শরিফ হোসেনের বাড়ি। ভাঙ্গনের শিকার রেজাউল হক,রাসেল হোসেন,রাজু আহমেদ ও ইদ্রিস সরকার জানান,প্রায় শত বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারাসহ আমরা এখানে বসবাস করছিলাম। কিন্তু এখন আমরা গৃহহীন হয়ে গেলাম। জরিনা খাতুন ও আবেদা খাতুন বলেন,আমাদের দাদা শ^শুররাও এখানে বাস করতো কিন্তু এখন আমরা গৃহহীন হয়ে ১৫ দিন আগে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। পুঙ্গলী ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হোসেন তালুকদার জানান,ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি-ঘর গুলোর পাশে বড়ালের উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ চলমান রয়েছে প্রায় ৩ বছর ধরে। এ ব্রীজের একটি পিলার নির্মাণের জন্য এ স্থানে বিশাল গর্ত করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার প্রায় ২ বছর পিলার নির্মাণ বন্ধ রাখায় গত বছর এ স্থান দিয়ে পানির ¯্রােত তীব্র বেগে প্রবাহিত হওয়ায় এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এমপি আলহাজ মকবুল হোসেনের সুপারিশ নিয়ে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টি গত বছর পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলে প্রকৌশলী রাজিব হোসেনএসে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে গেলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এ বছর ভাঙ্গন তীব্র হয়েছে,বাড়ি-ঘর বিলিন হয়ে যাচ্ছে।এবারও বড়ালের পানি বাড়ার আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখন এমপি আলহাজ মকবুল হোসেনের সুপারিশ নিয়ে আরেকটি দরখাস্ত আগামী ১৪ জুলাই পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হবে। এ ব্যপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন,আমাদের একজন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে,তিনি বিষয়টি দেখে দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন।

ট্যাগস :

ফরিদপুরে বড়াল নদের ভাঙ্গনে বাড়িঘরের ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

বড়াল নদের ভাঙ্গনে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ১২টি বাড়ি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে,ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরো ১৫টি বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন জানান,গত বছর থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এবার ভাঙ্গন বেশি হওয়ায় রেজাউল হক,রাসেল হোসেন,রাজু আহমেদ,শুভ হোসেন,আফেল হোসেন,রিপন হোসেন,আবু সাঈদ,ইদ্রিস সরকার,সুলতান সরকার,সাইফ উদ্দিন,ইছাক মোল্লা ও শাহিন মোল্লার বাড়ি বিলীন হয়েছে। বাড়িঘরের সাথে বাঁশ ঝাড় ও গাছপালাও নদের গর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ও হুমকিতে রয়েছে,ইজন মোল্লা,লোকমান হোসেন,আলম হোসেন,উকিল হোসেন,হাসু মোল্লা,এজন হোসেন,বাবু হোসেন,মনসের সরকার,স্বপন হোসেন,ইব্রাহিম হোসেন,সাদুল্লাহ হোসেন,ওহিদুল ইসলাম,মধু হোসেন,জাহিদ হোসেন ও শরিফ হোসেনের বাড়ি। ভাঙ্গনের শিকার রেজাউল হক,রাসেল হোসেন,রাজু আহমেদ ও ইদ্রিস সরকার জানান,প্রায় শত বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারাসহ আমরা এখানে বসবাস করছিলাম। কিন্তু এখন আমরা গৃহহীন হয়ে গেলাম। জরিনা খাতুন ও আবেদা খাতুন বলেন,আমাদের দাদা শ^শুররাও এখানে বাস করতো কিন্তু এখন আমরা গৃহহীন হয়ে ১৫ দিন আগে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। পুঙ্গলী ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হোসেন তালুকদার জানান,ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি-ঘর গুলোর পাশে বড়ালের উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ চলমান রয়েছে প্রায় ৩ বছর ধরে। এ ব্রীজের একটি পিলার নির্মাণের জন্য এ স্থানে বিশাল গর্ত করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার প্রায় ২ বছর পিলার নির্মাণ বন্ধ রাখায় গত বছর এ স্থান দিয়ে পানির ¯্রােত তীব্র বেগে প্রবাহিত হওয়ায় এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এমপি আলহাজ মকবুল হোসেনের সুপারিশ নিয়ে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টি গত বছর পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলে প্রকৌশলী রাজিব হোসেনএসে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে গেলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এ বছর ভাঙ্গন তীব্র হয়েছে,বাড়ি-ঘর বিলিন হয়ে যাচ্ছে।এবারও বড়ালের পানি বাড়ার আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখন এমপি আলহাজ মকবুল হোসেনের সুপারিশ নিয়ে আরেকটি দরখাস্ত আগামী ১৪ জুলাই পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হবে। এ ব্যপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন,আমাদের একজন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে,তিনি বিষয়টি দেখে দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন।