ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়াইগ্রামের আগুনে পুড়লো ৫০ বিঘা জমির পান বরজ!

মোহাম্মদ আলী গাজী,বড়াইগ্রাম (নাটোর):
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪ ৫৩ বার পঠিত

নাটোরের বড়াইগ্রামে শুকনো শিমগাছ পোড়াতে গিয়ে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে ৫০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই
হয়ে গেছে। গত শনিবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের বাগডোব মন্ডলপাড়া গ্রামে এ
দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বাগডোব মন্ডলপাড়া এলাকায় জমিতে
শুকনো শিমের গাছ জড়ো করে আগুনে পোড়াচ্ছিলেন কৃষক নিজাম উদ্দিন। এ সময় আগুন বেড়ে গিয়ে ওই
জমি সংলগ্ন পান বরজে ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত অন্যান্য পান বরজেও ছড়িয়ে
পড়ে। খবর পেয়ে আশেপাশের কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ ছুটে এলেও আশেপাশে জলাশয় না থাকায়
আগুন নেভানো যাচ্ছিল না। পরে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড়
ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ততক্ষণে কুমারখালী গ্রামের আব্দুল হামিদ, আতাউর রহমান, জমিন
আলী, আরশেদ আলী, লুৎফর রহমান, আব্দুল লতিফ, আনারুল, আবু সাঈদ, মোক্তার হোসেন, আবেদ আলী,
মোস্তাক, খতিব আলী ও রাজাসহ অন্তত ৩০ জন কৃষকের প্রায় ৫০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই হয়ে
যায়।
বরজ মালিক আব্দুল হামিদ জানান, তার পাঁচ বিঘা পান বরজ পুড়ে গেছে। প্রতি বিঘা জমির পানসহ বরজ
পুড়ে অন্তত ১০-১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ খতিব আলী বলেন, পরিবারের আয়ের একমাত্র
উৎস ছিল পান বরজ। পান বিক্রি করেই আমাদের সারা বছরের খরচ মেটে। আগুনে সব কিছু পুড়ে গেছে।
শুন্য থেকে আবার শুরু করতে হবে। কিন্তু কিভাবে আবার শুরু করবো, আর আগামী দিনগুলি পারিবার
পরিজন নিয়ে চলবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি খবর পেয়েছি। বিষয়টি খুবই দু:খজনক।
আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের যতটুকু পারি সহায়তা করবো।

ট্যাগস :

বড়াইগ্রামের আগুনে পুড়লো ৫০ বিঘা জমির পান বরজ!

আপডেট সময় : ১১:০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রামে শুকনো শিমগাছ পোড়াতে গিয়ে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে ৫০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই
হয়ে গেছে। গত শনিবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের বাগডোব মন্ডলপাড়া গ্রামে এ
দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বাগডোব মন্ডলপাড়া এলাকায় জমিতে
শুকনো শিমের গাছ জড়ো করে আগুনে পোড়াচ্ছিলেন কৃষক নিজাম উদ্দিন। এ সময় আগুন বেড়ে গিয়ে ওই
জমি সংলগ্ন পান বরজে ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত অন্যান্য পান বরজেও ছড়িয়ে
পড়ে। খবর পেয়ে আশেপাশের কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ ছুটে এলেও আশেপাশে জলাশয় না থাকায়
আগুন নেভানো যাচ্ছিল না। পরে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড়
ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ততক্ষণে কুমারখালী গ্রামের আব্দুল হামিদ, আতাউর রহমান, জমিন
আলী, আরশেদ আলী, লুৎফর রহমান, আব্দুল লতিফ, আনারুল, আবু সাঈদ, মোক্তার হোসেন, আবেদ আলী,
মোস্তাক, খতিব আলী ও রাজাসহ অন্তত ৩০ জন কৃষকের প্রায় ৫০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই হয়ে
যায়।
বরজ মালিক আব্দুল হামিদ জানান, তার পাঁচ বিঘা পান বরজ পুড়ে গেছে। প্রতি বিঘা জমির পানসহ বরজ
পুড়ে অন্তত ১০-১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ খতিব আলী বলেন, পরিবারের আয়ের একমাত্র
উৎস ছিল পান বরজ। পান বিক্রি করেই আমাদের সারা বছরের খরচ মেটে। আগুনে সব কিছু পুড়ে গেছে।
শুন্য থেকে আবার শুরু করতে হবে। কিন্তু কিভাবে আবার শুরু করবো, আর আগামী দিনগুলি পারিবার
পরিজন নিয়ে চলবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি খবর পেয়েছি। বিষয়টি খুবই দু:খজনক।
আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের যতটুকু পারি সহায়তা করবো।