ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়াইগ্রামে পুকুরে রাস্তা ভেঙ্গে চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১০ বার পঠিত

নাটোরের বড়াইগ্রামে চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে ধসে পড়েছে। এতে মাড়িয়া মাহমুদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ও পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক শ’ শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া স্থানীয় মসজিদের মুসল্লীসহ গ্রামের বাসিন্দারাও পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
জানা যায়, উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে দ্বীনি শিক্ষার জন্য একটি মাদরাসা ও পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিছুদিন আগে গ্রামবাসী মাদরাসার পাশে একটি মসজিদও তৈরি করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কাঁচা রাস্তাটি এইচবিবিকরণ করা হয়। কিন্তু মাদরাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা সংলগ্ন একটি সরকারী খাস পুকুরে মাছ চাষের ফলে প্রতিনিয়তই চারদিকের পাড় ভেঙ্গে পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছিল। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে রাস্তার অবশিষ্ট অংশটুকুও প্রায় পুরোটাই ভেঙ্গে পুকুরে পড়ে গেছে। মাত্র আধা ফুট পরিমাণ রাস্তা এখনও রয়েছে। এতে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মসজিদের মুসল্লী ও গ্রামের লোকজন এ সরু পথেই দেয়াল ধরে কোন রকমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এদিকে, দ্রুত রাস্তাটি পুণ:নির্মাণ করা না হলে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরও পুকুরে ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মাদরাসার শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ও রোহানা খাতুন জানায়, যেটুকু রাস্তা অবশিষ্ট আছে, তাতে স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে চলা কঠিন। সব সময় পুকুরে পড়ে যাওয়ার ভয় নিয়ে হাঁটতে হয়। মাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোকেয়া খাতুন ও বেলাল হোসেন বলে, এই ভাঙ্গা রাস্তার কারণে বাড়ি থেকে স্কুলে আসতেই ভয় লাগে। আমরা পুজার ছুটির মধ্যেই রাস্তাটি ঠিক করে দেয়ার দাবি জানাই।
মাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন বলেন, পুকুরের কারণে যেভাবে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে, তাতে যে কোন সময় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাড়িয়া মাহমুদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল বারিক বলেন, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে শিক্ষার্থীদের মাদরাসায় আসা একবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সমস্যাটি সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।

ট্যাগস :

বড়াইগ্রামে পুকুরে রাস্তা ভেঙ্গে চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রামে চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে ধসে পড়েছে। এতে মাড়িয়া মাহমুদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ও পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক শ’ শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া স্থানীয় মসজিদের মুসল্লীসহ গ্রামের বাসিন্দারাও পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
জানা যায়, উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে দ্বীনি শিক্ষার জন্য একটি মাদরাসা ও পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিছুদিন আগে গ্রামবাসী মাদরাসার পাশে একটি মসজিদও তৈরি করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কাঁচা রাস্তাটি এইচবিবিকরণ করা হয়। কিন্তু মাদরাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা সংলগ্ন একটি সরকারী খাস পুকুরে মাছ চাষের ফলে প্রতিনিয়তই চারদিকের পাড় ভেঙ্গে পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছিল। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে রাস্তার অবশিষ্ট অংশটুকুও প্রায় পুরোটাই ভেঙ্গে পুকুরে পড়ে গেছে। মাত্র আধা ফুট পরিমাণ রাস্তা এখনও রয়েছে। এতে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মসজিদের মুসল্লী ও গ্রামের লোকজন এ সরু পথেই দেয়াল ধরে কোন রকমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এদিকে, দ্রুত রাস্তাটি পুণ:নির্মাণ করা না হলে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরও পুকুরে ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মাদরাসার শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ও রোহানা খাতুন জানায়, যেটুকু রাস্তা অবশিষ্ট আছে, তাতে স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে চলা কঠিন। সব সময় পুকুরে পড়ে যাওয়ার ভয় নিয়ে হাঁটতে হয়। মাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোকেয়া খাতুন ও বেলাল হোসেন বলে, এই ভাঙ্গা রাস্তার কারণে বাড়ি থেকে স্কুলে আসতেই ভয় লাগে। আমরা পুজার ছুটির মধ্যেই রাস্তাটি ঠিক করে দেয়ার দাবি জানাই।
মাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন বলেন, পুকুরের কারণে যেভাবে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে, তাতে যে কোন সময় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাড়িয়া মাহমুদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল বারিক বলেন, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে শিক্ষার্থীদের মাদরাসায় আসা একবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সমস্যাটি সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।