বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব হলেন মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান
- আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ৯৬ বার পঠিত
বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান আজহারী। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সেখানে জুমার নামাজ পড়াবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিগত দুই জুমাতেও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ড. খান ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর মুহাদ্দিস (৫ম গ্রেড) পদে ১৮ বছর ধরে কর্মরত। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।
ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, ফরিদাবাদ জামিয়া ও দারুল উলুম মিরপুর-৬ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং জামিয়া ইমদাদিয়ার সাবেক উপাধ্যক্ষ সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য হজরত মাওলানা আতাউর রহমান খানের দ্বিতীয় ছেলে।
তিনি হিফজুল কোরআন থেকে শুরু করে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়াতে পড়াশোনা করেন। এ ছাড়া ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি নেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন।
মুফতি ড. ওয়ালিউর রহমান খান শিক্ষাজীবন শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস (প্রথম শ্রেণি গ্রেড ৫) পদে যোগ দেন ২০০৫ সালে। তাছাড়া বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিকল্প খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই তিনি ইমামতি করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় জাতীয় ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ের রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় তাকে। দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশোতে নিয়মিত আলোচনা করেন তিনি।
সৌদি আরবের ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতায় ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ওআইসি যুব কেরাত প্রতিযোগিতার বিভিন্ন অধিবেশনে এবং জাতীয় শিশু-কিশোর কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক হিসেবে সংশ্লিষ্ট সবার আস্থা অর্জন করেছেন।