ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে লুঙ্গি,গামছার ব্যবসায় ফিরলেন পঙ্গু ফখরুল
- আপডেট সময় : ১০:১৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৫ বার পঠিত
ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে লুঙ্গি,গামছা ও টুপি বিক্রির ব্যবসা শুরু করবে পঙ্গু ফখরুল ইসলাম। ফখরুল পাবনার চাটমোহর উ জেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের ছোট দুবলাপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। দূর্ঘটনায় পা হারানো ফখরুল ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন নির্বাহ করতেন। এক পর্যায়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তার কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রস্তাব দেন এবং ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। পরে ফখরুল ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়ার ঘোষনা দেন। এরপর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের আওতায় ফখরুল ইসলামকে ব্যবসা করার জন্য ৫০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হলো।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পঙ্গু ভিক্ষক ফখরুল ইসলামের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।
এসময় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম,চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা,বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহবায়ক এ এম জাকারিয়া,বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম কালু,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,আঃ রহিম,উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ ওমর ফারুক বুলবুল,সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন,কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন,উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মগরেব আলী,প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েলসহ সরকারি কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
ভিক্ষুক ফখরুল ইসলাম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আমাদের বড়ালকে জানান ভিক্ষাবৃত্তি খুব খারাপ কাজ।কিন্তু আমি অসহায় পঙ্গু,বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেই। কোন কাজ করতে পারতাম না। সমাজসেবা স্যার আমার খোঁজ পেয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে এসে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে ছোট ব্যবসা করার কথা বলেন। এজন্য ৫০ হাজার টাকা দেবেন বলে জানান। আমি তখনই ভিক্ষা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলি এবং লুঙ্গি গামছা ও টুপির ব্যবসা করবো বলে জানাই। আমি খুবই খুশি ভিক্ষা করা ছাড়তে পেরে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা আমাদের বড়ালকে জানান,শুধু অনুদান দিয়েই নয়,নিয়মিত মনিটরিং করা হবে তার ব্যবসা কিভাবে চলছে। সে যেন ভিক্ষাবৃত্তিতে আবার ফিরে যেতে না পারে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী প্রতিকী হিসেবে ফখরুল ইসলামকে লুঙ্গি ও গামছা উপহার দেন।