ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ Logo চাটমোহরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালন Logo আহত যুবদল নেতা দেখতে হাসপাতালে সাবেক এমপি Logo যুবদল নেতাকে কোপালেন আ.লীগের কর্মীরা Logo পাবনায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ২যাত্রী নিহত, আহত ৭ Logo সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল Logo মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ঈশ্বরদীতে নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা Logo ৫দিনব্যাপী ইউপি কার্যালয়ে তালা বদ্ধ ভাঙ্গুড়ায় জনতার বিক্ষোভের কারণে নিজ কার্যালয়ে ঢুকতে পারলেন না ইউপি চেয়ারম্যান Logo চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে হান্ডিয়াল ইউপি কার্যালয়ে তালা! Logo চাটমোহরেরএকই মাদ্রাসায় দু’জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ!

মুক্তিপণের জন্য ঈশ্বরদীতে অপহরণ : সাত দিন পর মরদেহ উদ্ধার

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪ ৮ বার পঠিত

মুক্তিপণের জন্য ঈশ্বরদীতে অপহরণের সাত দিন পর এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২৪ জুলাই তাকে অপহরণ করা হয়। শনিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকার শৈলপাড়ায় শরীফুজ্জামানের চারতলা বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। নিহত বৃদ্ধের নাম সিরাজ ফকির (৬০)। তিনি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। সে ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের জলিল ফকিরের ছেলে। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী অপহরণকৃত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
শেরই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাষ্টার্স শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত নিহতের পুত্র আল আমিন জানান, গত ২৪ তারিখে বাবাকে অপহরণের পর বাবার ফোন থেকে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তখন আমি বলি, ঢাকায় আছি এসে টাকা দিব। আমার বাবার যেন কিছু না হয়। ঢাকা থেকে এসে গত ২৬ আগস্ট থানায় জিডি করি। অপহরণকারী বার বার ফোন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যেতে বলে। পুলিশও চেষ্টা করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি বলি বাবার গলা শুনতে চাই। কিন্তু তারা তা না করে আমাকে অশ্রাব্যভাবে গালিগালাজ করে। আজ পুলিশের কাছে খবর পেয়ে বাথরুমের মধ্যে অর্ধগলিত লাশ দেখতে পাই।
শৈলপাড়ার বাড়ির মালিক উত্তরা ব্যাংকের কর্মচারী শরীফুজ্জামান জানান, প্রায় মাসখানেক আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দিয়ে বাসা ভাড়া নেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে নানা পরিচয় দিয়ে নিহত বৃদ্ধকে এখানে আনা হয়। এরপর আর কিছু জানি না। ওই বাসা থেকে দূর্গন্ধ বের হলে এবং বাসায় কাউকে না পেয়ে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে বাথরূম থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল। শৈলপাড়া থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত চলছে, পাশাপাশি আসামী গ্রেফতারে এবং রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস :

মুক্তিপণের জন্য ঈশ্বরদীতে অপহরণ : সাত দিন পর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

মুক্তিপণের জন্য ঈশ্বরদীতে অপহরণের সাত দিন পর এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২৪ জুলাই তাকে অপহরণ করা হয়। শনিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকার শৈলপাড়ায় শরীফুজ্জামানের চারতলা বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। নিহত বৃদ্ধের নাম সিরাজ ফকির (৬০)। তিনি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। সে ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের জলিল ফকিরের ছেলে। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী অপহরণকৃত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
শেরই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাষ্টার্স শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত নিহতের পুত্র আল আমিন জানান, গত ২৪ তারিখে বাবাকে অপহরণের পর বাবার ফোন থেকে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তখন আমি বলি, ঢাকায় আছি এসে টাকা দিব। আমার বাবার যেন কিছু না হয়। ঢাকা থেকে এসে গত ২৬ আগস্ট থানায় জিডি করি। অপহরণকারী বার বার ফোন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যেতে বলে। পুলিশও চেষ্টা করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি বলি বাবার গলা শুনতে চাই। কিন্তু তারা তা না করে আমাকে অশ্রাব্যভাবে গালিগালাজ করে। আজ পুলিশের কাছে খবর পেয়ে বাথরুমের মধ্যে অর্ধগলিত লাশ দেখতে পাই।
শৈলপাড়ার বাড়ির মালিক উত্তরা ব্যাংকের কর্মচারী শরীফুজ্জামান জানান, প্রায় মাসখানেক আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দিয়ে বাসা ভাড়া নেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে নানা পরিচয় দিয়ে নিহত বৃদ্ধকে এখানে আনা হয়। এরপর আর কিছু জানি না। ওই বাসা থেকে দূর্গন্ধ বের হলে এবং বাসায় কাউকে না পেয়ে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে বাথরূম থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল। শৈলপাড়া থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত চলছে, পাশাপাশি আসামী গ্রেফতারে এবং রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।