ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ঈশ্বরদীতে নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০ বার পঠিত

মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অপহৃত নিরাপত্তা প্রহরী সিরাজ ফকিরকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সাজাহান আলী ও তার কথিত স্ত্রী তন্নি মল্লিক মিমকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা একটি চক্রের সদস্য বলে রিমান্ডে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আশিক হোসেন নামে আরেক যুবককে আটক করা হলেও সম্পৃক্ততা না থাকোয় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটক সাজাহান আলী ও মিম রহিমপুর এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নেয়। এই ভাড়া বাসা ঘিরেই গড়ে উঠে চক্রটির ব্যবসা। তারা সহজ সরল মানুষকে অপহরণ করে টাকা, ফোন, দামি জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মুক্তিপণ আদায় করত। এভাবেই সিরাজ ফকির তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। প্রথমে এক নারীকে দিয়ে ফোনে ডেকে আনে। ওই নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছেলের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। গত ৩১ আগস্ট সিরাজ ফকিরের লাশ উদ্ধার হয়। ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জানান, সিরাজ ফকিরের সন্তানের সঙ্গে কথা বলে মুক্তিপণের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চক্রটির নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের চিত্র। এই চক্রে সাজাহান, মিম, রূমা, আশিকসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ততা আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের পর মিম ও রূমা স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরেক ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণের পরিকল্পনাও ছিল তাদের। পুলিশ তদন্ত করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,অচিরেই তা প্রকাশ করা হবে।

ট্যাগস :

মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ঈশ্বরদীতে নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা

আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অপহৃত নিরাপত্তা প্রহরী সিরাজ ফকিরকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সাজাহান আলী ও তার কথিত স্ত্রী তন্নি মল্লিক মিমকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা একটি চক্রের সদস্য বলে রিমান্ডে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আশিক হোসেন নামে আরেক যুবককে আটক করা হলেও সম্পৃক্ততা না থাকোয় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটক সাজাহান আলী ও মিম রহিমপুর এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নেয়। এই ভাড়া বাসা ঘিরেই গড়ে উঠে চক্রটির ব্যবসা। তারা সহজ সরল মানুষকে অপহরণ করে টাকা, ফোন, দামি জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মুক্তিপণ আদায় করত। এভাবেই সিরাজ ফকির তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। প্রথমে এক নারীকে দিয়ে ফোনে ডেকে আনে। ওই নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছেলের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। গত ৩১ আগস্ট সিরাজ ফকিরের লাশ উদ্ধার হয়। ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জানান, সিরাজ ফকিরের সন্তানের সঙ্গে কথা বলে মুক্তিপণের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চক্রটির নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের চিত্র। এই চক্রে সাজাহান, মিম, রূমা, আশিকসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ততা আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের পর মিম ও রূমা স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরেক ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণের পরিকল্পনাও ছিল তাদের। পুলিশ তদন্ত করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,অচিরেই তা প্রকাশ করা হবে।