ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রণেশ স্মরণসভায় বেলতলা রোড তার নামে করার দাবি

বার্তা সংস্থা পিপ:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮৩ বার পঠিত

পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক,সাবেক সভাপতি,ভাষা সংগ্রামী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র‘র প্রথম প্রয়ান দিবস গত মঙ্গলবার রাতে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা পাবনা শহরের বেলতলা রোড রণেশ মৈত্র‘র নামে করার দাবি জানান।
সভায় বক্তারা আরও বলেন,রণেশ মৈত্র একাধারে সাংবাদিক আইনজীবী ও বাম ঘরানার প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি সারাজীবন মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন সৎ ও আদর্শবান সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত। পাবনার সাংবাদিকসহ সকল মানুষ তাকে চিরদিন স্মরণ করবে। তার আর্দশকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে ভাবে। তারা বলেন, সাংবাদিক রণেশমৈত্র ছিলেন একজন নির্লোভ ব্যক্তি। সে ইচ্ছে করলে অনেক সম্পদের মালিক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ মানুষ,আদর্শ সাংবাদিক।
পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক,সাবেক সভাপতি,ভাষা সংগ্রামী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র‘র প্রথম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, রণেশ মৈত্রর কনিষ্ট সন্তান প্রলয় মৈত্র,পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা,অধ্যাপক গয়ালী চন্দ্র বিশ^াস,প্রেসক্লাব সদস্য ড. নরেশ চন্দ্র মধু, রাজিউর রহমান রুমী,আব্দুল জব্বার,আহমেদ হুমায়ুন কবীর তপু প্রমুখ।
সভার শুরুতে পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সাবেক সভাপতি, ভাষা সংগ্রামী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র‘র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর আগে দুপুর পাবনার মহাসশ্মানে রণেশ মৈত্রর পরিবারের উদ্যোগে একটি বিশ্রামাগার উদ্বোধন করা হয়। দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ফিতা কেটে এই বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করেন। এ সময় পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, পাবনা রির্পোটার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, পাবনা প্রেসক্লাব সদস্য দি ডেইলি মনিং টাচ নির্বাহী সম্পাদক মনিরুজ্জামান শিপন, সৌমেন সাহা ভানু, নব কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রণেশ মৈত্র মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন জনস্বার্থের আন্দোলনে সব সময় সাহসি ভুমিকা রাখেন। ১৯৩৩ সালের ৪ঠা অক্টোবর তাঁর মাতামহের চাকুরীস্থল রাজশাহী জেলার ন’হাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আজীবন সংগ্রামী রণেশ মৈত্র। বাবা রমেশ চন্দ্র ছিলেন পাবনার আতাইকুলা থানার ভুলবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। ২০১৮ সালে তিনি সাংবাদিকতায় একুশে পদক লাভ করেন। তার স্ত্রী পুরবী মৈত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতি পাবনা জেলা শাখার সভানেত্রী।

ট্যাগস :

রণেশ স্মরণসভায় বেলতলা রোড তার নামে করার দাবি

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক,সাবেক সভাপতি,ভাষা সংগ্রামী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র‘র প্রথম প্রয়ান দিবস গত মঙ্গলবার রাতে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা পাবনা শহরের বেলতলা রোড রণেশ মৈত্র‘র নামে করার দাবি জানান।
সভায় বক্তারা আরও বলেন,রণেশ মৈত্র একাধারে সাংবাদিক আইনজীবী ও বাম ঘরানার প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি সারাজীবন মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন সৎ ও আদর্শবান সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত। পাবনার সাংবাদিকসহ সকল মানুষ তাকে চিরদিন স্মরণ করবে। তার আর্দশকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে ভাবে। তারা বলেন, সাংবাদিক রণেশমৈত্র ছিলেন একজন নির্লোভ ব্যক্তি। সে ইচ্ছে করলে অনেক সম্পদের মালিক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ মানুষ,আদর্শ সাংবাদিক।
পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক,সাবেক সভাপতি,ভাষা সংগ্রামী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র‘র প্রথম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, রণেশ মৈত্রর কনিষ্ট সন্তান প্রলয় মৈত্র,পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা,অধ্যাপক গয়ালী চন্দ্র বিশ^াস,প্রেসক্লাব সদস্য ড. নরেশ চন্দ্র মধু, রাজিউর রহমান রুমী,আব্দুল জব্বার,আহমেদ হুমায়ুন কবীর তপু প্রমুখ।
সভার শুরুতে পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সাবেক সভাপতি, ভাষা সংগ্রামী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র‘র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর আগে দুপুর পাবনার মহাসশ্মানে রণেশ মৈত্রর পরিবারের উদ্যোগে একটি বিশ্রামাগার উদ্বোধন করা হয়। দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ফিতা কেটে এই বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করেন। এ সময় পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, পাবনা রির্পোটার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, পাবনা প্রেসক্লাব সদস্য দি ডেইলি মনিং টাচ নির্বাহী সম্পাদক মনিরুজ্জামান শিপন, সৌমেন সাহা ভানু, নব কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রণেশ মৈত্র মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন জনস্বার্থের আন্দোলনে সব সময় সাহসি ভুমিকা রাখেন। ১৯৩৩ সালের ৪ঠা অক্টোবর তাঁর মাতামহের চাকুরীস্থল রাজশাহী জেলার ন’হাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আজীবন সংগ্রামী রণেশ মৈত্র। বাবা রমেশ চন্দ্র ছিলেন পাবনার আতাইকুলা থানার ভুলবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। ২০১৮ সালে তিনি সাংবাদিকতায় একুশে পদক লাভ করেন। তার স্ত্রী পুরবী মৈত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতি পাবনা জেলা শাখার সভানেত্রী।