ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষাধিক মানুষের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম ছোট ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২ বার পঠিত

19 ??????? 2019 ???? ???????????? ? ???? ??????????? ???????? ??????? ??????????????????? (?????, ?????? ???????? «?????????????», ????????????????????? ???????? ????????????? «???????») ???? ??????? ?????????? ? ???? ?????????????? ????-???????????? ???? ? ???????? ?????????? ?????????.

বর্তমান বিশ্বে একমাত্র ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রসাটমের মালিকানাধীন। ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি লক্ষাধিক জনসংখ্যার একটি নগরীর বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম। একাডেমিক লামানোসভ নামের এই ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত পাঁচ বছরে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের নগরী চুকোতকার এনার্জী হাবে প্রায় ৯৮ কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। যদিও এই কেন্দ্রটি থেকে বছরে প্রায় ৪৩ কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। রসাটমের মিডিয়া উইং প্রেরীত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের খবর জানিয়েছে।
রসাটম জানায়, ২০২০ সালে চালু হবার পর এক বছরে একাডেমিক লামানোসভ ১২.৭ কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বর্ধিত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০২৪ সালে ২৫ কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। চুকোতকা অঞ্চলে মূলত বৃহদাকার খনি প্রকল্পগুলো এই ভাসমান কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকে।
গত পাঁচ বছরে আর্কটিক এবং রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে এজাতীয় প্রকল্প পরিচালনায় রসাটম ব্যাপক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। এর ফলশ্রুতিতে রসাটম ছোট আকারের আরও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের পরিকল্পনা করছে। ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টর (এসএমআর) প্রযুক্তি ভিত্তিক এমনই আরও একটি ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে চুকোতকা অঞ্চলে। তবে, এটিতে থাকবে চারটি রিয়্যাক্টর, যেখানে একাডেমিক লামানোসভের রিয়্যাক্টর সংখ্যা দু’টি। রাশিয়ার ইয়াকুতিয়ায় এসএমআর নির্ভর একটি স্থল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও নির্মিত হবে।
রসাটমের বৈদ্যুতিক এনার্জি শাখার একটি অঙ্গসংগঠন হচ্ছে রসএনার্গোএটম, যারা একাডেমিক লামানোসভ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

ট্যাগস :

লক্ষাধিক মানুষের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম ছোট ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেট সময় : ০৮:১৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বর্তমান বিশ্বে একমাত্র ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রসাটমের মালিকানাধীন। ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি লক্ষাধিক জনসংখ্যার একটি নগরীর বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম। একাডেমিক লামানোসভ নামের এই ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত পাঁচ বছরে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের নগরী চুকোতকার এনার্জী হাবে প্রায় ৯৮ কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। যদিও এই কেন্দ্রটি থেকে বছরে প্রায় ৪৩ কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। রসাটমের মিডিয়া উইং প্রেরীত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের খবর জানিয়েছে।
রসাটম জানায়, ২০২০ সালে চালু হবার পর এক বছরে একাডেমিক লামানোসভ ১২.৭ কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বর্ধিত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০২৪ সালে ২৫ কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। চুকোতকা অঞ্চলে মূলত বৃহদাকার খনি প্রকল্পগুলো এই ভাসমান কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকে।
গত পাঁচ বছরে আর্কটিক এবং রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে এজাতীয় প্রকল্প পরিচালনায় রসাটম ব্যাপক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। এর ফলশ্রুতিতে রসাটম ছোট আকারের আরও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের পরিকল্পনা করছে। ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টর (এসএমআর) প্রযুক্তি ভিত্তিক এমনই আরও একটি ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে চুকোতকা অঞ্চলে। তবে, এটিতে থাকবে চারটি রিয়্যাক্টর, যেখানে একাডেমিক লামানোসভের রিয়্যাক্টর সংখ্যা দু’টি। রাশিয়ার ইয়াকুতিয়ায় এসএমআর নির্ভর একটি স্থল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও নির্মিত হবে।
রসাটমের বৈদ্যুতিক এনার্জি শাখার একটি অঙ্গসংগঠন হচ্ছে রসএনার্গোএটম, যারা একাডেমিক লামানোসভ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।