ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ Logo চাটমোহরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালন Logo আহত যুবদল নেতা দেখতে হাসপাতালে সাবেক এমপি Logo যুবদল নেতাকে কোপালেন আ.লীগের কর্মীরা Logo পাবনায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ২যাত্রী নিহত, আহত ৭ Logo সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল Logo মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ঈশ্বরদীতে নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা Logo ৫দিনব্যাপী ইউপি কার্যালয়ে তালা বদ্ধ ভাঙ্গুড়ায় জনতার বিক্ষোভের কারণে নিজ কার্যালয়ে ঢুকতে পারলেন না ইউপি চেয়ারম্যান Logo চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে হান্ডিয়াল ইউপি কার্যালয়ে তালা! Logo চাটমোহরেরএকই মাদ্রাসায় দু’জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ!

লিবিয়ায় জিম্মি করে টাকা আদায়, দুই সহযোগী গ্রেপ্তার

পাবনা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ ৭৫ বার পঠিত

লিবিয়ায় এক প্রবাসীকে জিম্মি করে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের দক্ষিণ-পশ্চিম দিঘলদি গ্রামের মৃত পন্ডিত আলী ব্যাপারীর ছেলে হাবিবুর রহমান সুমন (৩০) এবং একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে রবিউল আওয়াল রবি (২৮)।
পুলিশ সুপার আকবর আলী অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, মাসুদ রানা (৪০) নামের পাবনার এক ব্যক্তি ৪ বছর ধরে লিবিয়ায় থাকেন। তিনি দেশটির সিটি খলিফা নামক এলাকায় দরজির ব্যবসা করেন। গত ১৪ মে সকাল ৮টার দিকে নাম না জানা নম্বর থেকে ভুক্তভোগী মাসুদের স্ত্রীর ইমো নম্বরে ফোন করে অপহরণকারীরা। তারা তাকে বলেন, তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। জীবিত ফেরত চাইলে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না দিলে মাসুদকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
অপহরণকারীরা একটি নম্বর দেয় এবং সেখানে টাকা পাঠাতে বলে। মাসুদের বাবা ধার-দেনা করে অপহরণকারীদের দেওয়া নম্বরে ১০ লাখ টাকা দেন। গত ২০ মে অপহরণকারীরা আবারো ইমো নম্বর থেকে পুনরায় ফোন করে আরও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং মাসুদকে মারধরের ভিডিও পাঠায় পরিবারের কাছে।
তিনি আরও জানান, মাসুদের মা মলিনা খাতুন গত বুধবার (৫ জুন) পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরদিন মামলা হিসেবে অভিযোগটি নথিভুক্ত হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ। ডিবির টিম তথ্য প্রযু্ক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। পরে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে লিবিয়ায় থাকা অপহরণকারীদের আগে থেকেই পরিচয় আছে। অপহরণকারীরা অপহৃতদের পরিবারের পাঠানা টাকা দেশে থাকা সুমন ও রবির মাধ্যমে লেনদেন করতো। লিবিয়ায় থাকা অপহরণকারীদেরও পরিচয় পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আমরা লিবিয়ায় অপহৃতকে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

ট্যাগস :

লিবিয়ায় জিম্মি করে টাকা আদায়, দুই সহযোগী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

লিবিয়ায় এক প্রবাসীকে জিম্মি করে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের দক্ষিণ-পশ্চিম দিঘলদি গ্রামের মৃত পন্ডিত আলী ব্যাপারীর ছেলে হাবিবুর রহমান সুমন (৩০) এবং একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে রবিউল আওয়াল রবি (২৮)।
পুলিশ সুপার আকবর আলী অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, মাসুদ রানা (৪০) নামের পাবনার এক ব্যক্তি ৪ বছর ধরে লিবিয়ায় থাকেন। তিনি দেশটির সিটি খলিফা নামক এলাকায় দরজির ব্যবসা করেন। গত ১৪ মে সকাল ৮টার দিকে নাম না জানা নম্বর থেকে ভুক্তভোগী মাসুদের স্ত্রীর ইমো নম্বরে ফোন করে অপহরণকারীরা। তারা তাকে বলেন, তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। জীবিত ফেরত চাইলে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না দিলে মাসুদকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
অপহরণকারীরা একটি নম্বর দেয় এবং সেখানে টাকা পাঠাতে বলে। মাসুদের বাবা ধার-দেনা করে অপহরণকারীদের দেওয়া নম্বরে ১০ লাখ টাকা দেন। গত ২০ মে অপহরণকারীরা আবারো ইমো নম্বর থেকে পুনরায় ফোন করে আরও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং মাসুদকে মারধরের ভিডিও পাঠায় পরিবারের কাছে।
তিনি আরও জানান, মাসুদের মা মলিনা খাতুন গত বুধবার (৫ জুন) পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরদিন মামলা হিসেবে অভিযোগটি নথিভুক্ত হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ। ডিবির টিম তথ্য প্রযু্ক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। পরে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে লিবিয়ায় থাকা অপহরণকারীদের আগে থেকেই পরিচয় আছে। অপহরণকারীরা অপহৃতদের পরিবারের পাঠানা টাকা দেশে থাকা সুমন ও রবির মাধ্যমে লেনদেন করতো। লিবিয়ায় থাকা অপহরণকারীদেরও পরিচয় পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আমরা লিবিয়ায় অপহৃতকে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।