ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ Logo চাটমোহরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালন Logo আহত যুবদল নেতা দেখতে হাসপাতালে সাবেক এমপি Logo যুবদল নেতাকে কোপালেন আ.লীগের কর্মীরা Logo পাবনায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ২যাত্রী নিহত, আহত ৭ Logo সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল Logo মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ঈশ্বরদীতে নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা Logo ৫দিনব্যাপী ইউপি কার্যালয়ে তালা বদ্ধ ভাঙ্গুড়ায় জনতার বিক্ষোভের কারণে নিজ কার্যালয়ে ঢুকতে পারলেন না ইউপি চেয়ারম্যান Logo চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে হান্ডিয়াল ইউপি কার্যালয়ে তালা! Logo চাটমোহরেরএকই মাদ্রাসায় দু’জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ!

সুজানগরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আওয়ামীলীগ কর্মীর মৃত্যু

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ ২৭ বার পঠিত

পাবনার সুজানগরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মোজাহার বিশ্বাস (৫৪) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মোজাহার বিশ্বাস সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাণীনগর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত ২১ জুন রানীনগর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আলামিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন নিহত হন।
এ ঘটনার জেরে ওই এলাকার বেশকিছু বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। সেই হামলায় মোজাহার বিশ্বাসসহ ওহাব গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। মোজাহার বিশ্বাসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন,‘মোজাহার বিশ্বাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছেন। ঢাকাতেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার পরপরই এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন,‘আগে যে মারা গেছে সেও আমার কর্মী। এখন যে মারা গেছেন সেও আমার কর্মী। তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের কর্মী। আমি উভয় হত্যার বিচার চাই। পাশাপাশি যারা বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে আমি সেটাই চাই।’
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন,‘যেদিন যুবলীগ নেতা আল আমিন হত্যা হয়,ঘটনার পরপরই সেদিন নিহতদের লোকজন সেই মোজাহার বিশ্বাসের অবস্থান জানতে পেরে তাকে মারধর করে। সেই মারামারিতে মোজাহার বিশ্বাস আহত হয়েছিল। হত্যাকান্ডে যেই জড়িত থাক তার বিচার হওয়া উচিত।

ট্যাগস :

সুজানগরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আওয়ামীলীগ কর্মীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

পাবনার সুজানগরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মোজাহার বিশ্বাস (৫৪) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মোজাহার বিশ্বাস সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাণীনগর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত ২১ জুন রানীনগর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আলামিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন নিহত হন।
এ ঘটনার জেরে ওই এলাকার বেশকিছু বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। সেই হামলায় মোজাহার বিশ্বাসসহ ওহাব গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। মোজাহার বিশ্বাসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন,‘মোজাহার বিশ্বাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছেন। ঢাকাতেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার পরপরই এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন,‘আগে যে মারা গেছে সেও আমার কর্মী। এখন যে মারা গেছেন সেও আমার কর্মী। তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের কর্মী। আমি উভয় হত্যার বিচার চাই। পাশাপাশি যারা বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে আমি সেটাই চাই।’
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন,‘যেদিন যুবলীগ নেতা আল আমিন হত্যা হয়,ঘটনার পরপরই সেদিন নিহতদের লোকজন সেই মোজাহার বিশ্বাসের অবস্থান জানতে পেরে তাকে মারধর করে। সেই মারামারিতে মোজাহার বিশ্বাস আহত হয়েছিল। হত্যাকান্ডে যেই জড়িত থাক তার বিচার হওয়া উচিত।