হাঙ্গামা ও মারপিটের কারণে কাটেঙ্গা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত
- আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩ ৩২৫ বার পঠিত
চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত স্থগিত হয়ে গেছে মারপিট ও হাঙ্গামার কারণে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এই তদন্তের দিন ধার্য ছিল। পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রোস্তম আলী হেলালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মগরেব আলীসহ অন্যদের সাথে নিয়ে কাটেঙ্গা হাইস্কুলে যান তদন্ত কাজে। তাঁরা স্কুলে পৌঁছানো মাত্র স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের লোকজন অভিযোগকারীদের উপর হামলা চালিয়ে মারটি করে এবং হাঙ্গামা সৃষ্টি করেন। মারপিটে অভিযোগকারী স্কুলের ম্যােিনজিং কমিটির সদস্য রেহেনা খাতুন (৩৫),মনিরুল ইসলাম মনি (২৭) ও আজিদুল (৪০) আহত হন। এদের মধ্যে মনিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত কাজ স্থগিত করে চলে যান।
অভিযোগে জানা গেছে,স্কুলের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান নবম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ বোর্ড নির্ধারিত ২১০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকা করে আদায় করেন। তাছাড়া তিনি অফিস কক্ষে বসেই ধূমপান করেন। নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ৪ জন সদস্য উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন উপ-পরিচালক। মঙ্গলবার ছিল তদন্ত। দুপুর ১২টার দিকে জেলা শিক্ষা অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ অন্যরা স্কুলে পৌঁছানোর পরপরই হাঙ্গামা শুরু হয়। অভিযোগকারীদের উপর হামলা চালানো হয়।
প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান,অভিযোগকারীরাই হাঙ্গামার সৃষ্টি করেছে। তারা মিথ্যে অভিযোগ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে।
অভিযোগকারীদের পক্ষে মোঃ আঃ মজিদ জানান,প্রধান শিক্ষক নানা দূর্নীতির সাথে জড়িত। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ থেকে বাঁচতে এবং তদন্ত বানচাল করতেই তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মগরেব আলী জানান,তদন্তের কাজে জেলা শিক্ষা অফিসার স্কুলে পৌঁছানোর পর পরই হাঙ্গামা শুরু হয়। পরিস্থিতি অস্বাবিক দেখেই তদন্ত স্থগিত করেন তিনি।