ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :

পাবনা-৩ আসনে আলোচনায় এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ৩৬২ বার পঠিত

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন। পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহৎ উপজেলা চাটমোহর থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের দাবি ছিল অনেকের। কিন্তু আবারো ছোট উপজেলা ভাঙ্গুড়া থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে করে চাটমোহরবাসী যেমন হতাশ হয়েছেন,তেমনি ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। চাটমোহরের সাধারণ মানুষের অভিমত,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা মিলে যে ভোটার তার চেয়ে চাটমোহর উপজেলায় ভোটার ও জনসংখ্যা বেশি। বারবার চাটমোহর উপজেলা থেকে প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় বৃহৎ এ উপজেলায় কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকারের যে উন্নয়ন গতি,তা থেকে পিছিয়ে আছে এ উপজেলা। কিন্তু এবার চাটমোহরবাসীর আশা ছিল চাটমোহর থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেবেন। এ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন অনেকে। এরমধ্যে ছিলেন চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম,সাবেক সভাপতি ও চাটমোহর পৌরসভার মেয়র এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো,চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ হামিদ মাস্টার,মেজর জেনারেল (অব.) ড.ফসিউর রহমান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক,ইউ জাবিন সমাজী,নুরজাহান বেগম মুক্তি,শাহিদুর রহমান শাহেদ ও রবিউল করিম। কিন্তু মনোনয়ন পেলেন মোঃ মকবুল হোসেন।
মকবুল হোসেন মনোনয়ন পাওয়ায় চাটমোহরের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ঝিমিয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেছেন,এমনিতেই বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছেনা। তার উপর চাটমোহরের প্রার্থী নেই। ফলে ভোট দেওয়ার আর ইচ্ছে নেই। কেউ কেউ বলেছেন,এমনিতেই এমপি নির্বাচিত হবেন মকবুল হোসেন। আমাদের আর ভোট দেওয়ার দরকার নেই।
এদিকে চাটমোহর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই এ সংবাদদাতার কাছে বলেছেন,চাটমোহর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেই সে জয়ী হবেন। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ একজন জনবান্ধব,গ্রহষযোগ্য প্রার্থীর আশা করছেন। দু’একজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে তাদের মুখে। চাটমোহর থেকে কেউ স্বতন্ত্র অথবা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন কিনা,তা জানা যাবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই।

ট্যাগস :

পাবনা-৩ আসনে আলোচনায় এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন। পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহৎ উপজেলা চাটমোহর থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের দাবি ছিল অনেকের। কিন্তু আবারো ছোট উপজেলা ভাঙ্গুড়া থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে করে চাটমোহরবাসী যেমন হতাশ হয়েছেন,তেমনি ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। চাটমোহরের সাধারণ মানুষের অভিমত,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা মিলে যে ভোটার তার চেয়ে চাটমোহর উপজেলায় ভোটার ও জনসংখ্যা বেশি। বারবার চাটমোহর উপজেলা থেকে প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় বৃহৎ এ উপজেলায় কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকারের যে উন্নয়ন গতি,তা থেকে পিছিয়ে আছে এ উপজেলা। কিন্তু এবার চাটমোহরবাসীর আশা ছিল চাটমোহর থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেবেন। এ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন অনেকে। এরমধ্যে ছিলেন চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম,সাবেক সভাপতি ও চাটমোহর পৌরসভার মেয়র এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো,চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ হামিদ মাস্টার,মেজর জেনারেল (অব.) ড.ফসিউর রহমান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক,ইউ জাবিন সমাজী,নুরজাহান বেগম মুক্তি,শাহিদুর রহমান শাহেদ ও রবিউল করিম। কিন্তু মনোনয়ন পেলেন মোঃ মকবুল হোসেন।
মকবুল হোসেন মনোনয়ন পাওয়ায় চাটমোহরের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ঝিমিয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেছেন,এমনিতেই বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছেনা। তার উপর চাটমোহরের প্রার্থী নেই। ফলে ভোট দেওয়ার আর ইচ্ছে নেই। কেউ কেউ বলেছেন,এমনিতেই এমপি নির্বাচিত হবেন মকবুল হোসেন। আমাদের আর ভোট দেওয়ার দরকার নেই।
এদিকে চাটমোহর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই এ সংবাদদাতার কাছে বলেছেন,চাটমোহর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেই সে জয়ী হবেন। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ একজন জনবান্ধব,গ্রহষযোগ্য প্রার্থীর আশা করছেন। দু’একজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে তাদের মুখে। চাটমোহর থেকে কেউ স্বতন্ত্র অথবা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন কিনা,তা জানা যাবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই।