ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গুড়ায় ঘনকুয়াশায় দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে

ময়নুল হক, ভাঙ্গুড়া অফিস:
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮৮ বার পঠিত

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহ ঐহিত্যবাহী চলনবিল অঞ্চলে হিমেল হওয়ায় কনকনে শীত ও ঘন কুয়াসার চাঁদরে বিছিয়ে জনজীবন ও প্রাণীকূলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বৈকাল থেকে শুরু হয়ে সকাল প্রায় দশটা অবধি ঘনকুয়াশার চাদরে সড়ক—রাস্তা গুলোর যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে প্রয়োজনের তাগিদে কর্মস্থলে ছুটছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।

স্থানীয়রা জানান, ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। সড়ক—রাস্তাগুলোতে তিনফুটে দূরুত্বের মধ্য যেন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তার পরেও যানবাহন গুলোতে হেডলাইট ব্যবহার করে চলাচল করছে। ব্যক্তিগত যানবাহন থেকে শুরু করে সড়ক—মহাসড়কে চলাচল কারী যানবাহন মালিক—শ্রমিকগণ জানান, পরিবহন নিয়ে রাস্তায় বের হতে ভয়লাগে কখন বা পথে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ট্রাকচালক শামসুল আলম বলেন, ‘কুয়াশায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয়। সামনে লাইট জ্বলে, তার পরেও সামনে দশফুট পথ পরিষ্কার দেখা যায় না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালিক—পরিবার জনের মুখের দিক তাকিয়ে সড়কে যান চলাচল করে থাকি। দুর্ঘটনার কথা মনে পড়লেই ভয়ে জান আঁতকে ওঠে। সে বলে গাড়ির আলোর চোখ দিয়ে আমাদের পথ চলতে হয়।’ কৃষি শ্রমিক রব্বান আলী বলেন, ঘনকুয়াশা আর কনকনে শীতের কারণে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। মাঠ—ঘাটে গিয়ে কাজ আরম্ভ করতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দেরী হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করতে সমস্যা হয়, হাত—পা জমে যাওয়ার অবস্থা, আয়ও ভালো হয় না।’ এ বিষয়ে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা নীচে নেমে যাওয়া এবং পা সূর্যালোকের অভাবের কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থা আরও দু—এক দিন বিরাজ করতে পারে।

ট্যাগস :

ভাঙ্গুড়ায় ঘনকুয়াশায় দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে

আপডেট সময় : ০২:২৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহ ঐহিত্যবাহী চলনবিল অঞ্চলে হিমেল হওয়ায় কনকনে শীত ও ঘন কুয়াসার চাঁদরে বিছিয়ে জনজীবন ও প্রাণীকূলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বৈকাল থেকে শুরু হয়ে সকাল প্রায় দশটা অবধি ঘনকুয়াশার চাদরে সড়ক—রাস্তা গুলোর যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে প্রয়োজনের তাগিদে কর্মস্থলে ছুটছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।

স্থানীয়রা জানান, ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। সড়ক—রাস্তাগুলোতে তিনফুটে দূরুত্বের মধ্য যেন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তার পরেও যানবাহন গুলোতে হেডলাইট ব্যবহার করে চলাচল করছে। ব্যক্তিগত যানবাহন থেকে শুরু করে সড়ক—মহাসড়কে চলাচল কারী যানবাহন মালিক—শ্রমিকগণ জানান, পরিবহন নিয়ে রাস্তায় বের হতে ভয়লাগে কখন বা পথে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ট্রাকচালক শামসুল আলম বলেন, ‘কুয়াশায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয়। সামনে লাইট জ্বলে, তার পরেও সামনে দশফুট পথ পরিষ্কার দেখা যায় না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালিক—পরিবার জনের মুখের দিক তাকিয়ে সড়কে যান চলাচল করে থাকি। দুর্ঘটনার কথা মনে পড়লেই ভয়ে জান আঁতকে ওঠে। সে বলে গাড়ির আলোর চোখ দিয়ে আমাদের পথ চলতে হয়।’ কৃষি শ্রমিক রব্বান আলী বলেন, ঘনকুয়াশা আর কনকনে শীতের কারণে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। মাঠ—ঘাটে গিয়ে কাজ আরম্ভ করতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দেরী হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করতে সমস্যা হয়, হাত—পা জমে যাওয়ার অবস্থা, আয়ও ভালো হয় না।’ এ বিষয়ে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা নীচে নেমে যাওয়া এবং পা সূর্যালোকের অভাবের কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থা আরও দু—এক দিন বিরাজ করতে পারে।