ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাটমোহরে তীব্র তাপপ্রবাহ ও গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২৬৫ বার পঠিত

গত ২৫ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল টানা ছুটির পর তীব্র তাপদাহের মধ্যেই সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। পাবনার চাটমোহর উপজেলার সকল প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তীব্র তাপপ্রবাহেও এ উপজেলার স্কুল-কলেজগুলোতে ক্লাস খুললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছিলো গরমে তাদের হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হয়। বারবার পানি পান করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানালো,গরমে ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। টিনের ঘরের অবস্থা খুবই খারাপ। ঘেমে প্যান্ট,শার্ট ভিজে যাচ্ছে। এরপরে দফায় দফায় বিদ্যুৎ থাকছে না। তারা আরো জানান,আসা-যাওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তায় বের হলেই রোদে আগুনের তাপ। যানবাহনের ভাড়াও দ্বিগুণ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভঅবক বললেন, এই তাপদাহের মধ্যে স্কুল খুলেছে। আর কয়েকটা দিন স্কুল বন্ধ থাকলে ভালো হতো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চড়ইকোল উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস রঞ্জন তলাপাত্র বলেন,প্রচন্ড তাদাহের কারণে শিক।ষার্থী উপস্থিতি কম ছিলো। কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) থেকে মর্নিং স্কুল দেওয়া হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের ছাতা,পানির বোতল নিয়ে স্কুলে আসতে বলেছি এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উপজেলার বিলচলন দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান জানান,তাঁ স্কুলে উপস্থিতির পরিমাণ ছিলো অর্ধেক। প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিলো না। স্কুলে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ টিনশেডের। তাপদেহের কারণে অনেক স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেলা একটার পরে চলে যেতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ ছুটি দিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মগরেব আলী জানান,গরমের মধ্যেও স্কুলে যথারীতি ক্লাস হয়েছে। অনেকেই ফোন করে সকালে ক্লাস করার কথা বলেছেন। বলেছি কমিটির সাথে আলাপ করে সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে পাঠদান যেন ব্যাহত না হয়। শুনেছি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিলো।

ট্যাগস :

চাটমোহরে তীব্র তাপপ্রবাহ ও গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

গত ২৫ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল টানা ছুটির পর তীব্র তাপদাহের মধ্যেই সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। পাবনার চাটমোহর উপজেলার সকল প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তীব্র তাপপ্রবাহেও এ উপজেলার স্কুল-কলেজগুলোতে ক্লাস খুললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছিলো গরমে তাদের হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হয়। বারবার পানি পান করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানালো,গরমে ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। টিনের ঘরের অবস্থা খুবই খারাপ। ঘেমে প্যান্ট,শার্ট ভিজে যাচ্ছে। এরপরে দফায় দফায় বিদ্যুৎ থাকছে না। তারা আরো জানান,আসা-যাওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তায় বের হলেই রোদে আগুনের তাপ। যানবাহনের ভাড়াও দ্বিগুণ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভঅবক বললেন, এই তাপদাহের মধ্যে স্কুল খুলেছে। আর কয়েকটা দিন স্কুল বন্ধ থাকলে ভালো হতো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চড়ইকোল উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস রঞ্জন তলাপাত্র বলেন,প্রচন্ড তাদাহের কারণে শিক।ষার্থী উপস্থিতি কম ছিলো। কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) থেকে মর্নিং স্কুল দেওয়া হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের ছাতা,পানির বোতল নিয়ে স্কুলে আসতে বলেছি এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উপজেলার বিলচলন দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান জানান,তাঁ স্কুলে উপস্থিতির পরিমাণ ছিলো অর্ধেক। প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিলো না। স্কুলে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ টিনশেডের। তাপদেহের কারণে অনেক স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেলা একটার পরে চলে যেতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ ছুটি দিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মগরেব আলী জানান,গরমের মধ্যেও স্কুলে যথারীতি ক্লাস হয়েছে। অনেকেই ফোন করে সকালে ক্লাস করার কথা বলেছেন। বলেছি কমিটির সাথে আলাপ করে সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে পাঠদান যেন ব্যাহত না হয়। শুনেছি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিলো।