ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাটমোহরে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ফাঁকা,এক কেন্দ্রে চার ঘণ্টায় ভোট পড়ে ২৬টি

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ৬২ বার পঠিত

পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল থেকেই অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের কুয়াবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ২৬টি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাপস রঞ্জন তলাপাত্র বলেন,সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি বেশ কম। এই কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৮১ জন ভোটার। তাদের মধ্যে ভোট শুরুর পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ২৬টি।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম দেখা গেছে। এক-দুজন করে ভোটার আসছেন।
উপজেলার পাশর্^ডাঙ্গা ইউনিয়নের বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ২২৮টি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৫৭৯জন। প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান। একই ইউনিয়নের মহেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রেসাইডিং অফিসার মোঃ আঃ রাজ্জাক জানালেন,দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৯২টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২৭জন।
বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এস এম শামীম এহসান। তিনি জানালেন,এই কেন্দ্রে মোট ভোটার৩ হাজার ১১৭ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২১৮টি। মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ২০ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ৩০৭টি। বিষয়টি জানালেন প্রিসাইডিং অফিসার মাহবুবুল ইসলাম।
চাটমোহর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। অনেকের অভিমত হয়তো ১০ ভাগ ভোটার ভোট দিতে পারেন। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রই ছিলো ফাঁকা। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা বসে বসে অলস সময় পার করেছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদেরও তেমন তৎপরতা ছিলো না। বাহাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন,ভোটারবিহীন এমন নির্বাচন আগে কথনও দেখিনি।
সকাল থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ঘুরে দেখছেন। বিজিবি ও র‌্যাবের টহল ছিলো।
চাটমোহর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ রেদুয়ানুল হালিম বলেন,অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। দিন শেষে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবি তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ।

ট্যাগস :

চাটমোহরে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ফাঁকা,এক কেন্দ্রে চার ঘণ্টায় ভোট পড়ে ২৬টি

আপডেট সময় : ০৬:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল থেকেই অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের কুয়াবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ২৬টি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাপস রঞ্জন তলাপাত্র বলেন,সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি বেশ কম। এই কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৮১ জন ভোটার। তাদের মধ্যে ভোট শুরুর পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ২৬টি।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম দেখা গেছে। এক-দুজন করে ভোটার আসছেন।
উপজেলার পাশর্^ডাঙ্গা ইউনিয়নের বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ২২৮টি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৫৭৯জন। প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান। একই ইউনিয়নের মহেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রেসাইডিং অফিসার মোঃ আঃ রাজ্জাক জানালেন,দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৯২টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২৭জন।
বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এস এম শামীম এহসান। তিনি জানালেন,এই কেন্দ্রে মোট ভোটার৩ হাজার ১১৭ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২১৮টি। মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ২০ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ৩০৭টি। বিষয়টি জানালেন প্রিসাইডিং অফিসার মাহবুবুল ইসলাম।
চাটমোহর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। অনেকের অভিমত হয়তো ১০ ভাগ ভোটার ভোট দিতে পারেন। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রই ছিলো ফাঁকা। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা বসে বসে অলস সময় পার করেছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদেরও তেমন তৎপরতা ছিলো না। বাহাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন,ভোটারবিহীন এমন নির্বাচন আগে কথনও দেখিনি।
সকাল থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ঘুরে দেখছেন। বিজিবি ও র‌্যাবের টহল ছিলো।
চাটমোহর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ রেদুয়ানুল হালিম বলেন,অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। দিন শেষে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবি তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ।