ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গুড়ায় বাঁধের মাটি কেটে বিক্রির দায়ে, এক ব্যক্তিকে জরিমানা ও কারাদন্ড

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৬:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪ ৩৫ বার পঠিত

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বরোপিট থেকে ভেকু (এস্কেভেটর)দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগে দুলাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি একজন মাটি ব্যবসায়ী। তার বাড়ি পাশ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার সাভার গ্রামে। এ সময় মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ির তিন চালককে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এরা হলেন, আব্দুল্লাহ প্রামানিক, রুহুল আমিন ও রিপন কুমার হলদার। বুধবার (৫ জুন) রাতে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভাঙ্গুড়া থানা-পুলিশের একটি দল তাকে সহযোগিতা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়া গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বরোপিট হতে প্রায় মাস খানেক ধরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটছিলেন কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী। বাঁধের এসব মাটি তারা বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিলেন। অনেক গভীর করে সেখান থেকে মাটি কাটায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় প্রশাসন ও পাউবোর কর্মকর্তারা সেখান থেকে মাটি না কাঁটার নির্দেশ দেন। এতে কয়েকদিন মাটি কাটা বন্ধ রাখলেও পুনরায় ভেকু দিয়ে সেখান থেকে মা্টি কাঁটার কাজ আরম্ভ করেন তারা। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহারের নির্দেশে বুধবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজীর নেতৃত্বে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ি চালক আব্দুল্লাহ প্রামানিককে ২ হাজার, রুহুল আমিনকে ৫ হাজার ও রিপন কুমার হলদারকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(খ) ধারা লঙ্ঘন করায় ওই আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ির তিন চালককে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দন্ডিত ব্যক্তিকে পুলিশের সহযোগিতায় পাবনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

ট্যাগস :

ভাঙ্গুড়ায় বাঁধের মাটি কেটে বিক্রির দায়ে, এক ব্যক্তিকে জরিমানা ও কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০৬:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বরোপিট থেকে ভেকু (এস্কেভেটর)দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগে দুলাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি একজন মাটি ব্যবসায়ী। তার বাড়ি পাশ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার সাভার গ্রামে। এ সময় মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ির তিন চালককে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এরা হলেন, আব্দুল্লাহ প্রামানিক, রুহুল আমিন ও রিপন কুমার হলদার। বুধবার (৫ জুন) রাতে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভাঙ্গুড়া থানা-পুলিশের একটি দল তাকে সহযোগিতা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়া গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বরোপিট হতে প্রায় মাস খানেক ধরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটছিলেন কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী। বাঁধের এসব মাটি তারা বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিলেন। অনেক গভীর করে সেখান থেকে মাটি কাটায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় প্রশাসন ও পাউবোর কর্মকর্তারা সেখান থেকে মাটি না কাঁটার নির্দেশ দেন। এতে কয়েকদিন মাটি কাটা বন্ধ রাখলেও পুনরায় ভেকু দিয়ে সেখান থেকে মা্টি কাঁটার কাজ আরম্ভ করেন তারা। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহারের নির্দেশে বুধবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজীর নেতৃত্বে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ি চালক আব্দুল্লাহ প্রামানিককে ২ হাজার, রুহুল আমিনকে ৫ হাজার ও রিপন কুমার হলদারকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(খ) ধারা লঙ্ঘন করায় ওই আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ির তিন চালককে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দন্ডিত ব্যক্তিকে পুলিশের সহযোগিতায় পাবনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।