ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo সাঁথিয়ায় এক ব্যাক্তিকে গলা কেটে হত্যা Logo চাটমোহর এম এ আউয়াল ছাইকোলা টেকনিক্যাল এন্ড বিএমআই’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo আগস্টে সড়কে ঝরল ৪৭৬ প্রাণ! Logo চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বের করে দিয়েছে এলাকাবাসী Logo জাতীয়তাবাদী প্রচার দলে ১৪ জনকে অন্তর্ভুক্ত Logo চাটমোহরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo চাটমোহরে অবৈধ সোঁতি বাঁধ অপসারণ ও জাল পোড়াল প্রশাসন Logo সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ Logo ডিমসিদ্ধ করতে গিয়ে ঈশ্বরদীতে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড Logo নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

চাটমোহরে রাত জেগে মন্দির-দোকান পাহারা

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৪৭ বার পঠিত

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে হামলা,ভাঙচুর, লুটপাট ও ডাকাতির ঘটনা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে একটি চক্র। সাস্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার নানা গুজবও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পাবনার চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলাতেও এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি সনাতন ধর্মাবলম্বীর বাড়ি ও দোকানে ভাঙ্চুর ও লুটপাটের ঘটনায় বেড়েছে উৎকণ্ঠা। এছাড়া গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগ অফিস,তাদের দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এ অবস্থায় নাশকতা ও হামলা প্রতিরোধে চাটমোহরের বিভিন্ন স্থানে রাত জেগে পালাক্রমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির পাহারা দিচ্ছেন ছাত্র জনতা। এ তিন উপজেলায় কোন মন্দির আক্রান্ত হয়নি।
চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর বাজারের দোকানপাট পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় যুব সমাজ। চাটমোহর পৌর সদরের বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় ছাত্র জনতা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। সম্প্রতি ‘ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়,চাটমোহরে মন্দিরে হামলা করার গোপন বৈঠক হয়েছে। সবাই সতর্ক হোন। এরপরই আতংক দেখা দেয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম মতবিনিময় করেন হিন্দু নেতৃবৃন্দের সাথে। তিনি সবাইকে আশ^স্ত করেন কোন প্রকার গুজবে কান না দেওয়ার জন্য। বিএনপি নেতা-কর্মীরা সর্বদা পাশে থাকবে।
চাটমোহর হরিসভা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্য বলেন, ‘শুরুতে একটু আতংক উৎকণ্ঠার মধ্যেই ছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের মাঝে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে। আর ভয় আতঙ্ক নাই। কারণ,এলাকার যুব সমাজ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসতপাড়া ও মন্দির পাহারা দিচ্ছেন। তাদের সাধুবাদ জানাই।’
পাবনার ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন,‘সারাদেশে বিভিন্ন থানা ও পুলিশের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে তার তুলনায় এ এলাকার পরিবেশ খুবই ভাল ছিল এবং আছে। কোথাও কোনো থানা পুলিশের ওপর হামলা হয়নি। বরং ছাত্র জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আমাদের দিনে রাতে পাহারা দিয়ে রেখেছেন। আমরা সবদিক থেকে নিরাপদে ভাল আছি।’
সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,বিভিন্ন স্থানে যে হামলা ভাঙচুর লুটপাট হয়েছে তার সাথে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। একটি চক্র বিশৃঙ্খলা করে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নানা ফন্দি আঁটছে। আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক আছি।’

ট্যাগস :

চাটমোহরে রাত জেগে মন্দির-দোকান পাহারা

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে হামলা,ভাঙচুর, লুটপাট ও ডাকাতির ঘটনা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে একটি চক্র। সাস্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার নানা গুজবও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পাবনার চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলাতেও এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি সনাতন ধর্মাবলম্বীর বাড়ি ও দোকানে ভাঙ্চুর ও লুটপাটের ঘটনায় বেড়েছে উৎকণ্ঠা। এছাড়া গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগ অফিস,তাদের দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এ অবস্থায় নাশকতা ও হামলা প্রতিরোধে চাটমোহরের বিভিন্ন স্থানে রাত জেগে পালাক্রমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির পাহারা দিচ্ছেন ছাত্র জনতা। এ তিন উপজেলায় কোন মন্দির আক্রান্ত হয়নি।
চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর বাজারের দোকানপাট পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় যুব সমাজ। চাটমোহর পৌর সদরের বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় ছাত্র জনতা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। সম্প্রতি ‘ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়,চাটমোহরে মন্দিরে হামলা করার গোপন বৈঠক হয়েছে। সবাই সতর্ক হোন। এরপরই আতংক দেখা দেয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম মতবিনিময় করেন হিন্দু নেতৃবৃন্দের সাথে। তিনি সবাইকে আশ^স্ত করেন কোন প্রকার গুজবে কান না দেওয়ার জন্য। বিএনপি নেতা-কর্মীরা সর্বদা পাশে থাকবে।
চাটমোহর হরিসভা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্য বলেন, ‘শুরুতে একটু আতংক উৎকণ্ঠার মধ্যেই ছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের মাঝে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে। আর ভয় আতঙ্ক নাই। কারণ,এলাকার যুব সমাজ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসতপাড়া ও মন্দির পাহারা দিচ্ছেন। তাদের সাধুবাদ জানাই।’
পাবনার ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন,‘সারাদেশে বিভিন্ন থানা ও পুলিশের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে তার তুলনায় এ এলাকার পরিবেশ খুবই ভাল ছিল এবং আছে। কোথাও কোনো থানা পুলিশের ওপর হামলা হয়নি। বরং ছাত্র জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আমাদের দিনে রাতে পাহারা দিয়ে রেখেছেন। আমরা সবদিক থেকে নিরাপদে ভাল আছি।’
সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,বিভিন্ন স্থানে যে হামলা ভাঙচুর লুটপাট হয়েছে তার সাথে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। একটি চক্র বিশৃঙ্খলা করে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নানা ফন্দি আঁটছে। আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক আছি।’