ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আমাদের বড়াল ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ২৬ বার পঠিত

র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার দারুননাজাত ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জোবাইদ হোসেন ইমন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন আব্দুল্লা আবু সাইদ ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, মো. এ আরাফাত, সালমান এফ রহমান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ, হাবিবুর রহমান, ড. খ মহিদ উদ্দিন, হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার। এছাড়া র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল টিমের অজ্ঞাতনামা সদস্য ও তাদের কমান্ডিং অফিসারদের আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলে ইমন গণআন্দোলনের সাথে ঐক্যমত পোষণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে শরীক হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই গণভবনে প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে অভিহিত করেন। এতে আন্দোলনকারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করে। এ অবস্থায় ওবায়দুল কাদের ১৫ জুলাই ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের মোকাবিলা করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ মর্মে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে ছাত্রলীগকে গণহত্যার নির্দেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনদের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আন্দোলনকারীদের নিষ্ঠুরভাবে দমনের জন্য নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন। তাদের এ নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর জন্য নিজ নিজ বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ, হাবিবুর রহমান। তাদের নির্দেশে বাস্তবায়ন করেন অধঃস্তন কর্মকর্তারা। ১৯ জুলাই র‌্যাব সদস্যরা মোহাম্মদপুর আল্লাহ করিম মসজিদে হেলিকপ্টারে গুলি ছোঁড়ে। এর একটি গুলি ইমনের বাম কানের ওপর দিয়ে প্রবেশ করে ডান কানের নিচ দিয়ে চোয়াল ভেদ করে বেরিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইমন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা ও একটি অপহরণ মামলা হয়েছে।

ট্যাগস :

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০৮:২২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার দারুননাজাত ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জোবাইদ হোসেন ইমন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন আব্দুল্লা আবু সাইদ ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, মো. এ আরাফাত, সালমান এফ রহমান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ, হাবিবুর রহমান, ড. খ মহিদ উদ্দিন, হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার। এছাড়া র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল টিমের অজ্ঞাতনামা সদস্য ও তাদের কমান্ডিং অফিসারদের আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলে ইমন গণআন্দোলনের সাথে ঐক্যমত পোষণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে শরীক হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই গণভবনে প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে অভিহিত করেন। এতে আন্দোলনকারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করে। এ অবস্থায় ওবায়দুল কাদের ১৫ জুলাই ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের মোকাবিলা করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ মর্মে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে ছাত্রলীগকে গণহত্যার নির্দেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনদের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আন্দোলনকারীদের নিষ্ঠুরভাবে দমনের জন্য নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন। তাদের এ নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর জন্য নিজ নিজ বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ, হাবিবুর রহমান। তাদের নির্দেশে বাস্তবায়ন করেন অধঃস্তন কর্মকর্তারা। ১৯ জুলাই র‌্যাব সদস্যরা মোহাম্মদপুর আল্লাহ করিম মসজিদে হেলিকপ্টারে গুলি ছোঁড়ে। এর একটি গুলি ইমনের বাম কানের ওপর দিয়ে প্রবেশ করে ডান কানের নিচ দিয়ে চোয়াল ভেদ করে বেরিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইমন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা ও একটি অপহরণ মামলা হয়েছে।