ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo সাঁথিয়ায় এক ব্যাক্তিকে গলা কেটে হত্যা Logo চাটমোহর এম এ আউয়াল ছাইকোলা টেকনিক্যাল এন্ড বিএমআই’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo আগস্টে সড়কে ঝরল ৪৭৬ প্রাণ! Logo চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বের করে দিয়েছে এলাকাবাসী Logo জাতীয়তাবাদী প্রচার দলে ১৪ জনকে অন্তর্ভুক্ত Logo চাটমোহরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo চাটমোহরে অবৈধ সোঁতি বাঁধ অপসারণ ও জাল পোড়াল প্রশাসন Logo সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ Logo ডিমসিদ্ধ করতে গিয়ে ঈশ্বরদীতে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড Logo নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

চাটমোহরে মাদ্রাসা সুপারসহ অন্যদের মাদ্রাসায় না যাওয়ার জন্য হুমকি ও মানববন্ধনে অপপ্রচার

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০৩ বার পঠিত

চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ি কৈ দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মওলানা মোঃ ওসমান গণিসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারিকে মাদ্রাসায় না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় মানববন্ধন করে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও সুপারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারসহ শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানার অফিসার ইনচার্জ ও স্থানীয় প্রেসক্লাবে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে,সোমবার সকালে বাঘলবাড়ি কৈ মাদ্রাসার পাশের সড়কে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গোলবার হোসেন,সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম,ইউপি সদস্য আঃ রশিদসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কতিপয় কর্মী-সমর্থক মিলে একটি মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে তারা মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি রাসেল আহমেদ,সুপারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন এবং মাদ্রাসায় শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগে আর্থিক লেনদেন হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে গোলবার-নজরুল গং মাদ্রাসার অফিস কক্ষে গিয়ে মাদ্রাসা সুপার ওসমান গণিসহ কয়েকজন কর্মচারিকে মাদ্রাসা না আসার জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্য করা হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেন।
মাদ্রাসার সুপারসহ অন্যরা জানান,তারা যে অভিযোগ করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সরকারি বিধি মোতা্েবক সম্পন্ন হয়েছে। এখানে আর্থিক লেনদেনের কোন ঘটনাই ঘটেিেন। মূলতঃ গোলবার হোসেন সভাপতি হতে না পারায় এই মিথ্যে অভিযোগ ও অপপ্রচার শুরু করেছেন। মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলমান রয়েছে। অথচ তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই ধরণের বিশৃঙ্খলা শুরু করেছে। ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। একারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসার সুপারসহ এলাকাবাসী এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ গেঅরবার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

চাটমোহরে মাদ্রাসা সুপারসহ অন্যদের মাদ্রাসায় না যাওয়ার জন্য হুমকি ও মানববন্ধনে অপপ্রচার

আপডেট সময় : ০৫:০০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ি কৈ দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মওলানা মোঃ ওসমান গণিসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারিকে মাদ্রাসায় না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় মানববন্ধন করে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও সুপারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারসহ শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানার অফিসার ইনচার্জ ও স্থানীয় প্রেসক্লাবে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে,সোমবার সকালে বাঘলবাড়ি কৈ মাদ্রাসার পাশের সড়কে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গোলবার হোসেন,সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম,ইউপি সদস্য আঃ রশিদসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কতিপয় কর্মী-সমর্থক মিলে একটি মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে তারা মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি রাসেল আহমেদ,সুপারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন এবং মাদ্রাসায় শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগে আর্থিক লেনদেন হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে গোলবার-নজরুল গং মাদ্রাসার অফিস কক্ষে গিয়ে মাদ্রাসা সুপার ওসমান গণিসহ কয়েকজন কর্মচারিকে মাদ্রাসা না আসার জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্য করা হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেন।
মাদ্রাসার সুপারসহ অন্যরা জানান,তারা যে অভিযোগ করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সরকারি বিধি মোতা্েবক সম্পন্ন হয়েছে। এখানে আর্থিক লেনদেনের কোন ঘটনাই ঘটেিেন। মূলতঃ গোলবার হোসেন সভাপতি হতে না পারায় এই মিথ্যে অভিযোগ ও অপপ্রচার শুরু করেছেন। মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলমান রয়েছে। অথচ তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই ধরণের বিশৃঙ্খলা শুরু করেছে। ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। একারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসার সুপারসহ এলাকাবাসী এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ গেঅরবার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।