ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারের দ্রব্যমূল্যে আগুনে বেকায়দায় দরিদ্র-মধ্যবিত্তরা

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৬০ বার পঠিত

বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে বেকায়দায় পড়েছেন দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা। বাজারে সবকিছুর দামই উর্ধ্বগতি। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকা হচে।ছ। নিরুপায় ক্রেতারা।
“আমরা মধ্যবিত্তরা বিপদে আছি,দিন দিন সবজির দাম বাড়ছেই। আগে আমরা মূলা খেতাম না,সেই মূলা নাকি ৫০/৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের গ্রামের বাড়িতে কচুরমুখি এমনিতে পাওয়া যায়,সেই কচুরমুখি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। সবজির বাজার গরিবের হাতের নাগালে আর নেই। প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে,কিন্তু আমাদের বেতন বাড়ছে না।”
কথাগুলো বলছিলেন শুক্রবার সকালে বাজার করতে আসা হেদায়েতুল ইসলাম। তার এই ক্ষোভ-হতাশার কারণ ও কথার সত্যতা মেলে বাজারে একটু ঘুরলেই। কারণ,কাঁচা পেপে ছাড়া কোনো সবজির দাম এখন আর ৫০ টাকার নিচে নেই। আগাম শীতকালীন সবজিগুলোর দাম তো চড়া রয়েছেই।
সিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে,ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। সরকার আলুর দাম বেঁধে দিলেও তা মানছেন না বিক্রেতারা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু।
সবজি ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন,এ সপ্তাহে দাম কিছুটা কমতে পারে। গত সপ্তাহের তুলনায় এখন পর্যন্ত সবজির দাম প্রায় একই রয়েছে। দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। আর সপ্তাহ তো মাত্র শুরু হলো,এখনই বলা যাবে না। শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। যে কোনো সবজির বাজারে এলে প্রথমে একটু বেশি দামে বিক্রি হয়। সিম ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে,সময় গেলে এই সিমই শুধু ৪০ টাকায় বিক্রি করব।
চাটমোহরের বাজার ঘুরে দেখা যায়,এই বাজারে ফুলকপি-বাধাঁকপি ৫০ টাকা,সিম ১৪০,বেগুন ৯০ টাকা,টমেটো ১৬০ টাকা ও শসা ৭০ টাকা এবং পেঁপে কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া করলা ১০০ টাকা,লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা,কাকরোল ৮০ টাকা কেজি,পটল ৪০ টাকা কেজি,লতি ৪০ টাকা কেজি,ঢেড়স ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পে^য়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। কাঁচামরিচের দাম কখনও ৩০০ টাকা আবার কখনও ২০০ টাকা।
এখন শীতকালীন সবজি মৌসুম শুরু হয়েছে। তার মধ্যে বৃষ্টি-বাদল। বৃষ্টির কারণে সবজি বাজারে পর্যাপ্ত আসছে না। তাই শীতকালীন সবজির দাম একটু বেশি।
সবজির দামই নয় মাছ,মুরগি ও মাংসের দামও চড়া। কেউ কোন নিয়ম মানছেন না। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকা হচ্ছে। বাজার মনিটরিং করার কোন খবর মেলেনি।

ট্যাগস :

বাজারের দ্রব্যমূল্যে আগুনে বেকায়দায় দরিদ্র-মধ্যবিত্তরা

আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে বেকায়দায় পড়েছেন দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা। বাজারে সবকিছুর দামই উর্ধ্বগতি। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকা হচে।ছ। নিরুপায় ক্রেতারা।
“আমরা মধ্যবিত্তরা বিপদে আছি,দিন দিন সবজির দাম বাড়ছেই। আগে আমরা মূলা খেতাম না,সেই মূলা নাকি ৫০/৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের গ্রামের বাড়িতে কচুরমুখি এমনিতে পাওয়া যায়,সেই কচুরমুখি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। সবজির বাজার গরিবের হাতের নাগালে আর নেই। প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে,কিন্তু আমাদের বেতন বাড়ছে না।”
কথাগুলো বলছিলেন শুক্রবার সকালে বাজার করতে আসা হেদায়েতুল ইসলাম। তার এই ক্ষোভ-হতাশার কারণ ও কথার সত্যতা মেলে বাজারে একটু ঘুরলেই। কারণ,কাঁচা পেপে ছাড়া কোনো সবজির দাম এখন আর ৫০ টাকার নিচে নেই। আগাম শীতকালীন সবজিগুলোর দাম তো চড়া রয়েছেই।
সিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে,ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। সরকার আলুর দাম বেঁধে দিলেও তা মানছেন না বিক্রেতারা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু।
সবজি ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন,এ সপ্তাহে দাম কিছুটা কমতে পারে। গত সপ্তাহের তুলনায় এখন পর্যন্ত সবজির দাম প্রায় একই রয়েছে। দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। আর সপ্তাহ তো মাত্র শুরু হলো,এখনই বলা যাবে না। শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। যে কোনো সবজির বাজারে এলে প্রথমে একটু বেশি দামে বিক্রি হয়। সিম ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে,সময় গেলে এই সিমই শুধু ৪০ টাকায় বিক্রি করব।
চাটমোহরের বাজার ঘুরে দেখা যায়,এই বাজারে ফুলকপি-বাধাঁকপি ৫০ টাকা,সিম ১৪০,বেগুন ৯০ টাকা,টমেটো ১৬০ টাকা ও শসা ৭০ টাকা এবং পেঁপে কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া করলা ১০০ টাকা,লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা,কাকরোল ৮০ টাকা কেজি,পটল ৪০ টাকা কেজি,লতি ৪০ টাকা কেজি,ঢেড়স ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পে^য়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। কাঁচামরিচের দাম কখনও ৩০০ টাকা আবার কখনও ২০০ টাকা।
এখন শীতকালীন সবজি মৌসুম শুরু হয়েছে। তার মধ্যে বৃষ্টি-বাদল। বৃষ্টির কারণে সবজি বাজারে পর্যাপ্ত আসছে না। তাই শীতকালীন সবজির দাম একটু বেশি।
সবজির দামই নয় মাছ,মুরগি ও মাংসের দামও চড়া। কেউ কোন নিয়ম মানছেন না। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকা হচ্ছে। বাজার মনিটরিং করার কোন খবর মেলেনি।