ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :

চাটমোহরে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুণ,ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১০ বার পঠিত

দু’দিনের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা,কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা,সব জিনিসের দাম বেড়েছে। কী করবো,ভেবেই পাচ্ছিনা। কিভাবে সংসার চলবে। কথাগুলো বললেন বেসরকারি চাকুরিজীবি আমিরুল ইসলাম। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে চাটমোহর পুরাতন বাজারে কাঁচাবাজারে এসে কথাগুলো বললেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল গত বুধবার এক কেজি বেগুণ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। সেই বেগুন শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। একই অবস্থা কাঁচামরিচের। ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বুধবার। শুক্রবার সেই মরিচের দাম ৪০০ টাকা। এভাবেই প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পাশাপাশি মুরগি,ডিম আর মাছের দামও বাড়ছেই। নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়। নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বমুখি প্রবণতা কমছেনা। সরকারের কোন উদ্যোগ নেই দাম নিয়ন্ত্রণে। সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠেছে। নিত্যপণ্য এখন তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বাজার সিন্ডিকেট। কোন প্রকার তদারকি নেই বাজারে।
আজ শুক্রবার চাটমোহরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে,পটল ১০০ টাকা,ঝিঙে ৮০ টাকা,করলা ১২০ টাকা,ঢেঁড়শ ৮০ টাকা,বরবটি ৬০ টাকা,মুলা শাকসহ ৫০ টাকা,কোল্ড স্টোরেজের টমেটো ২৪০ টাকা,লাল শাক ৮০ টাকা,সবুজ শাক ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ ৬০ টাকা আর চালকুমড়া ৭০ টাকা। এক হালি কাঁচাকলা ৩০ টাকা,পেঁপের কেজি ৪০ টাকা আর শসা ৮০ টাকা কেজি। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে কম পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছেন। এ যেন মগের মুল্লুক। কোন মনিটরিং নেই। যা ইচ্ছে,তাই বিক্রি হচ্ছে।
চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বিদ্যুৎ বললেন,আমাদানী কম থাকায় নাকি শাকসবজির দাম বেড়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সবজি খেত ও মরিচের ক্ষতি হয়েছে,তাই আমদানী কমেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেদুয়ানুল হালিম বলেছেন,বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ দাম বাড়ালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

চাটমোহরে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুণ,ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

দু’দিনের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা,কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা,সব জিনিসের দাম বেড়েছে। কী করবো,ভেবেই পাচ্ছিনা। কিভাবে সংসার চলবে। কথাগুলো বললেন বেসরকারি চাকুরিজীবি আমিরুল ইসলাম। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে চাটমোহর পুরাতন বাজারে কাঁচাবাজারে এসে কথাগুলো বললেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল গত বুধবার এক কেজি বেগুণ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। সেই বেগুন শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। একই অবস্থা কাঁচামরিচের। ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বুধবার। শুক্রবার সেই মরিচের দাম ৪০০ টাকা। এভাবেই প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পাশাপাশি মুরগি,ডিম আর মাছের দামও বাড়ছেই। নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়। নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বমুখি প্রবণতা কমছেনা। সরকারের কোন উদ্যোগ নেই দাম নিয়ন্ত্রণে। সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠেছে। নিত্যপণ্য এখন তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বাজার সিন্ডিকেট। কোন প্রকার তদারকি নেই বাজারে।
আজ শুক্রবার চাটমোহরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে,পটল ১০০ টাকা,ঝিঙে ৮০ টাকা,করলা ১২০ টাকা,ঢেঁড়শ ৮০ টাকা,বরবটি ৬০ টাকা,মুলা শাকসহ ৫০ টাকা,কোল্ড স্টোরেজের টমেটো ২৪০ টাকা,লাল শাক ৮০ টাকা,সবুজ শাক ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ ৬০ টাকা আর চালকুমড়া ৭০ টাকা। এক হালি কাঁচাকলা ৩০ টাকা,পেঁপের কেজি ৪০ টাকা আর শসা ৮০ টাকা কেজি। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে কম পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছেন। এ যেন মগের মুল্লুক। কোন মনিটরিং নেই। যা ইচ্ছে,তাই বিক্রি হচ্ছে।
চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বিদ্যুৎ বললেন,আমাদানী কম থাকায় নাকি শাকসবজির দাম বেড়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সবজি খেত ও মরিচের ক্ষতি হয়েছে,তাই আমদানী কমেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেদুয়ানুল হালিম বলেছেন,বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ দাম বাড়ালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।