ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই হচ্ছে ডোপ টেস্ট,বেড়েছে সেবার মান

বড়াল প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১০৪ বার পঠিত

পাবনার চাটমোহর উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাসথ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান বেড়েছে। এক্স-রে,ইসিজি,আলট্রাসনোগ্রামসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি করা হচ্ছে ‘ডোপ টেস্ট’। পাবনা জেলার মধ্যে একমাত্র চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা আছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। তবে চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। এই হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের ২২ পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৮জন। কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে রোগির লোকজনের কাছ থেকে। তারমধ্যে রয়েছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব,ওষুধ নিতে গিয়ে ডিসপেনসারিতে দায়িত্বরত মহিলার দুর্ব্যবহার,জেনারেটর না থাকায় রাতে অন্ধকার পরিবেশ।
আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে রোগি ও রোগির লোকজন,কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে আসা অধিকাংশ রোগিই চিকিৎসা সেবা প্রদানে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন। শিশু বিভাগে গিয়ে রোগির লোকজনের সাথে কথা বললে,তারা জানান শিশুদের চিকিৎসায় কোন প্রকার অবহেলা নেই। তবে ওষুধ সংকট রয়েছে। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে হয়। সার্বক্ষনিক ডাক্তার ও নার্স থাকেন। মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে রোগির লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেল,সেবার মান আগের চেয়ে ভালো। তবে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অনেকে। কেউ বললেন,ইমারজেন্সি থেকে এক্স-রে করার জন্য বাইরে যেতে বলা হয়।
আউটডোরের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মতিউর রহমান জানান,সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগির ব্যাপক ভিড়। মেডিকেল অফিসার ও আমরা মিলে যথাসাধ্য সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় রোগির চাপে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। তারপরও দায়িত্ব পালনে কারো কোন কার্পন্য নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ ওমর ফারুক বুলবুল বললেন,এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই সকল প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকের পদ অনেকগুলো খালি। যারা আছেন,তাদের দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন,আমি আসার পর বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মোটরসাইকেল গ্যারেজ করা হয়েছে। স্টোরে এখন পর্যাপ্ত ওষুধ। কোন ঘাটতি নেই ওষুধের। তিনি জানান,কেউ যদি রোি বা রোগির লোকজনের সাথে অসদাচার করেন,তা দুঃখজনক। অবশ্যই বিষয়টি দেখা হবে। হাসপাতালে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবের বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন,আমার যে ক’জন ক্লিনার দরকার তা নেই। যারা আছেন,তাদের দিয়ে সবদিক সামাল দেওয়া মুশকিল। তবে তিনি অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন এবং সবাইকে সতর্ক করবেন। সেবার মান বাড়াতে সচেষ্ট আছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। ওমর ফারুক বুলবুল বলেন,এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেড উন্নতমানের। এখানে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা আছে। জেলার অন্য কোন উপজেলায় এ ব্যবস্থা নেই। নিয়মিত সিজার করা হয়। অপারেশন থিয়েটার চালু আছে।

ট্যাগস :

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই হচ্ছে ডোপ টেস্ট,বেড়েছে সেবার মান

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

পাবনার চাটমোহর উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাসথ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান বেড়েছে। এক্স-রে,ইসিজি,আলট্রাসনোগ্রামসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি করা হচ্ছে ‘ডোপ টেস্ট’। পাবনা জেলার মধ্যে একমাত্র চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা আছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। তবে চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। এই হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের ২২ পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৮জন। কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে রোগির লোকজনের কাছ থেকে। তারমধ্যে রয়েছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব,ওষুধ নিতে গিয়ে ডিসপেনসারিতে দায়িত্বরত মহিলার দুর্ব্যবহার,জেনারেটর না থাকায় রাতে অন্ধকার পরিবেশ।
আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে রোগি ও রোগির লোকজন,কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে আসা অধিকাংশ রোগিই চিকিৎসা সেবা প্রদানে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন। শিশু বিভাগে গিয়ে রোগির লোকজনের সাথে কথা বললে,তারা জানান শিশুদের চিকিৎসায় কোন প্রকার অবহেলা নেই। তবে ওষুধ সংকট রয়েছে। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে হয়। সার্বক্ষনিক ডাক্তার ও নার্স থাকেন। মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে রোগির লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেল,সেবার মান আগের চেয়ে ভালো। তবে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অনেকে। কেউ বললেন,ইমারজেন্সি থেকে এক্স-রে করার জন্য বাইরে যেতে বলা হয়।
আউটডোরের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মতিউর রহমান জানান,সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগির ব্যাপক ভিড়। মেডিকেল অফিসার ও আমরা মিলে যথাসাধ্য সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় রোগির চাপে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। তারপরও দায়িত্ব পালনে কারো কোন কার্পন্য নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ ওমর ফারুক বুলবুল বললেন,এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই সকল প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকের পদ অনেকগুলো খালি। যারা আছেন,তাদের দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন,আমি আসার পর বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মোটরসাইকেল গ্যারেজ করা হয়েছে। স্টোরে এখন পর্যাপ্ত ওষুধ। কোন ঘাটতি নেই ওষুধের। তিনি জানান,কেউ যদি রোি বা রোগির লোকজনের সাথে অসদাচার করেন,তা দুঃখজনক। অবশ্যই বিষয়টি দেখা হবে। হাসপাতালে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবের বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন,আমার যে ক’জন ক্লিনার দরকার তা নেই। যারা আছেন,তাদের দিয়ে সবদিক সামাল দেওয়া মুশকিল। তবে তিনি অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন এবং সবাইকে সতর্ক করবেন। সেবার মান বাড়াতে সচেষ্ট আছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। ওমর ফারুক বুলবুল বলেন,এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেড উন্নতমানের। এখানে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা আছে। জেলার অন্য কোন উপজেলায় এ ব্যবস্থা নেই। নিয়মিত সিজার করা হয়। অপারেশন থিয়েটার চালু আছে।